চন্ডীপুর, পূর্ব মেদিনীপুর : কিডনীতে বিশালাকায় টিউমারের অত্যন্ত জটিল ও বিপজ্জনক অপারেশান সম্পন্ন হল পূর্ব মেদিনীপুরের চন্তীপুর মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে। যার বিপুল ব্যয়ভার বহন করল স্বাস্থসাথী কার্ড। প্রৌঢ় এক ব্যক্তি দীর্ঘদিন ধরেই ভুগছিলেন।
পরীক্ষা নিরীক্ষায় জানা যায় ওই ব্যক্তির কিডনীতে রয়েছে বড়সড় একটি টিউমার, যা কিনা অনেকগুলি অঙ্গপ্রত্যঙ্গের সঙ্গে যুক্ত। জটিল অপারেশানেই একমাত্র এই টিউমার নিষ্কাষণ করা সম্ভব। কিন্তু আর্থিক দূরবস্থার জন্য বড় হাসপাতালে ব্যায়বহুল ও কটিল অপারেশান করাতে অপারগ ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুরের চন্ডীপুর থানার উরুরি গ্রামের প্রশান্ত খাটুয়া (৭৮)।
হাসপাতাল সূত্গরে খবর, গত ১৪ ফেব্রুয়ারী প্রচন্ড শ্বাসকষ্ট নিয়ে চন্ডীপুরের বেসরকারী মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন ওই প্রৌঢ়। তাঁর দূরবস্থার কথা শুনে এই হাসপাতালেই জটিল অপারেশানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ৪ চিকিৎসকের নেতৃত্বে বোর্ড গঠন করে শুরু হয় অপারেশানের প্রস্তুতি। অবশেষে শনিবার রাতে প্রায় ৫ ঘন্টার চেষ্টায় প্রৌঢ়ের শরীর থেকে টিউমারটি নিষ্কাষণ সম্ভব হয়েছে। বর্তমানে ওই রোগীর অবস্থা স্থিতিশীল। অপারেশানের সমস্ত ব্যয়ভার বহন করেছে স্বাস্থসাথী কার্ড। তত্বাবধান করেছে চন্ডীপুরের বেসরকারী মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল।
হাসপাতালের সুপার ডাঃ পার্থপ্রতীম দাস জানান, “কিডনীতে এতবড় টিমারের অপারেশান৷ অত্যন্ত জটিল, বিপজনক ও ব্যায়সাধ্য। রাজ্যের কোনও মফস্বলে এধরণের অস্ত্রোপচার বিরল ঘটনা। রোগীর পরিবার একাধিক প্রথমসারির হাসপাতালে গিয়েও টাকার অভাবে ফিরে আসেন চন্ডীপুরে।
এরপরেই ওঙ্কো সার্জন ডাঃ শিবাসীষ মাইতি, ইউরো সার্জন ডাঃ সুরেশ বাজোরিয়া, জেনারেল সার্জেন ডাঃ মধুসূদন পাঁজা এবং অ্যানাস্থেসিস্ট ডাঃ কল্যান মিদ্যার তত্বাবধানে জটিল অপারেশানটি সম্ভব হয়েছে”। তিনি জানান, ওই ব্যক্তির পেট থেকে ৬ কেজি ২০০ গ্রাম ওজনের এবং ২৩ সেমি X ৭.৪ সেমি আকারের টিউমার নিষ্কাষণ করা হয়েছে।
চন্ডীপুরের বেসরকারী হাসপাতালের ডিরেক্টর পবিত্র জানা জানান, “স্বাস্থসাথী কার্ডের মাধ্যমেও অনেক ব্যায় বহুল জটিল অপারেশান সম্ভব। ওই ব্যাক্তি বেশ কিছুদিন যাবৎ কষ্ট পাচ্ছিলেন, কিন্তু আর্থিক সমস্যার জেরে অপারেশান হচ্ছিল না। শেষ পর্যন্ত আমরা রোগীকে স্বাস্থ্যসাথীর মাধ্যমে অপারেশানের সিদ্ধান্ত নিই। সমস্ত অনুমোদন পাওয়ার পরেই শনিবার রাতে ওই রোগীর সফল অস্ত্রোপচার সম্ভব হয়েছে।