নন্দীগ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর : আর মাত্র এক সপ্তাহ বাদেই পঞ্চায়েত ভোট। যেখানে রাজ্যের সবার নজর থাকছে হেভিওয়েট কেন্দ্র নন্দীগ্রামের দিকে। আর সেই নন্দীগ্রামেই এবার ভোটের মুখে বদল হল আইসি’র। বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম থানার বর্তমান আইসি সুমন রায়চৌধুরীর পরিবর্তে দায়িত্বে এলেন কাশীনাথ চৌধুরী। ঘটনাটি নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে গুঞ্জন। ভোটের মুখে আইসি বদল ঠিক কোন কারনে তা নিয়েই শুরু হয়েছে জল্পনা।
এই সময়ের মধ্যেই আগামী সপ্তাহে ৮ জুলাই রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। সেই ভোট পরিচালনার দায়িত্বভার সামলাবেন বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত আইসি। এভাবে হেভিওয়েট কেন্দ্র নন্দীগ্রামে চুপিসাড়ে আইসি বদল নিয়ে রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোরদার জল্পনা। ঘটনাটির পেছনে রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছে বিজেপির একাংশও। নন্দীগ্রামের বিজেপি নেতা প্রলয় পালের দাবী, “এই রাজ্যের সরকার কোনও সংবিধান না মেনেই চলতে চায়। নন্দীগ্রামে বিজেপিকে দমাতেই এই সমস্ত ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে। তবে এখানে বিজেপি কর্মীরা সজাগ আছে, পুলিশকে সামনে রেখে বিজেপির ওপর হামলা হলে কর্মীরা তা প্রতিহত করার জন্য পুরোদস্তুর তৈরি আছে”।
যদিও এই বিষয়ে এখনই কোনও মন্তব্য করতে রাজি নয় তৃণমূল। পুলিশের বদলী নিয়ে জলঘোলা হলেও তৃণমূলের তরফে এখনই কোনও মন্তব্য করছেন না নেতা নেত্রীরা। নন্দীগ্রামের তৃণমূলের ব্লক সভাপতি বাপ্পাদিত্য গর্গ জানিয়েছেন, “এখনও পর্যন্ত নন্দীগ্রাম থানার আইসি বদল নিয়ে কোনও নোটিশ নজরে আসেনি। কি কারনে বদলী সেই সংক্রান্ত তথ্য হাতে আসার পরেই এই বিষয়ে মন্তব্য করা যাবে”।
তবে পুলিশের তরফে বিষয়টিকে আইসি বদলের ঘটনা বলে স্বীকার করা হয়নি। তমলুক জেলা পুলিশের ডিএসপি হেড কোয়ার্টার মহঃ মইনুল হক সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, “এটা কোনও বদলীর ঘটনা নয়। বিষয়টি নিয়ে অযথা জল ঘোলা হচ্ছে। নন্দীগ্রামের আইসি সুমন রায়চৌধুরির মা অসুস্থ। তাঁর জন্যই ছুটি চেয়েছিলেন আইসি। সেই ছুটি মঞ্জুর হয়েছে। এই সময়ের জন্য কাশীনাথ চৌধুরীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে”।