মহিষাদল, পূর্ব মেদিনীপুর : দিন কয়েক আগেই মহিষাদলে মহিলাদের নিয়ে জনসভায় মুখ্যমন্ত্রী সহ তৃণমূলকে একহাত নিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। জেলায় তৃণমূলের জনপ্রিয়তা তলানিতে ঠেকে গিয়েছে বলেও দাবী করেছিলেন বিজেপি নেতা। সেই থেকেই আজকের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় কত পরিমানে (CM Mamata Banerjee) লোক জমায়েত হবেন সেই আলোচনাতেই সরগরম গোটা এলাকা।
সূত্রের খবর, মহিষাদলের জনসভায় শুভেন্দুকে যোগ্য জবাব দিতে কোমর বাঁধছে তৃণমূলের নেতৃত্বরা। বিজেপি প্রার্থী প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে প্রেস্টিজ ফাইটে দেবাংশুর সমর্থনে দলের শক্তি প্রদর্শনে কোনও কসুর রাখছেন না তৃণমূল নেতা কর্মীরা।
তৃণমূল সূত্রে দাবী, বৃহস্পতিবার মহিষাদলের সভায় কমপক্ষ্যে ৫০ হাজার কর্মীর জমায়েতের লক্ষ্য নিয়েছে তাঁরা। যেখানে লক্ষ্মীর ভান্ডার থেকে কন্যাশ্রী উপভোক্তাদের উপস্থিতি থাকবে চোখে পড়ার মতো। ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রীর কপ্টার নামার জন্য মহিষাদল রাজ গ্রাউন্ডের উত্তর দিকে তৈরি হয়ে গিয়েছে অস্থায়ী হেলিপ্যাড গ্রাউন্ড। বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে সেদিক ঘিরে ফেলা হয়েছে।
আর মাঠের একেবারে দক্ষিণ দিকে তৈরি হয়েছে বিশালাকায় মঞ্চ। মঞ্চের সামনের দিকের অংশে বিশালাকায় একটি হ্যাঙার বানানো হয়েছে। তবে পাশেই ফাঁকা মাঠের ওপর বাঁশের আরও ব্যারিকেড বানানো হয়েছে। যেখানে রোদের মধ্যেই কর্মীদের দাঁড়াতে হবে। এই মাঠেই কপ্টার নামানোর জন্য অতিরিক্ত ছাউনি বানানো যাচ্ছে না বলে খবর।
আজ মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম সভা রয়েছে পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতনে। জুন মালিয়ার সমর্থনে সেখানে সভা করবেন মুখ্যমন্ত্রী। এরজন্য বুধবারই খড়্গপুরে চলে এসেছেন তিনি। উঠেছেন খড়্গপুরের একটি বেসরকারী হোটেলে। দাঁতনের সভা শেষ করেই তিনি কপ্টারে চেপে মহিষাদলের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন। তবে পশ্চিম মেদিনীপুরের তুলনায় মহিষাদলের সভার রাজনৈতিক গুরুত্ব অনেকটাই বেশী হতে চলেছে।
এক সময়ের অধিকারী গড়ে এসে মুখ্যমন্ত্রীর আক্রমণের ধার অনেকটাই বেড়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। শুভেন্দু যেভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়ে যাচ্ছেন তার বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রী কি বার্তা দেন সেদিকেই সবার নজর থাকবে। এরই পাশাপাশি বুধবার নন্দীগ্রামে দেবাংশুকে ঘিরে কুৎসিত শ্লোগান দিয়েছে বিজেপি। তার বিরুদ্ধেও মুখ্যমন্ত্রী সোচ্চার থাকবেন বলেই মনে করা হচ্ছে।
এছাড়াও তমলুক কেন্দ্রে এবার বিজেপির প্রার্থী হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গাঙ্গুলি। যিনি বিচারপতি পদে থাকাকালীন রাজ্যের বিরুদ্ধে একের পর এক রায়দান করেছেন। যা বারেবারে রাজ্য সরকারকে চরম অস্বস্তিতে ফেলেছে। তাঁর বিজেপি যোগ নিয়ে আগেও একাধিকবার প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। পরবর্তী কালে শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরে অভিজিৎ বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূলের দাবীতেই শিলমোহর পড়ে। সেই অভিজিৎ গাঙ্গুলির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে মুখ্যমন্ত্রী কি বার্তা দেবেন সেদিকেও সবার নজর থাকবে।