নিউজবাংলা ডেস্ক : দুর্ঘটনায় জখম এক রোগীকে আনা হয়েছিল হাসপাতালে। কিন্তু তাঁর অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় প্রাথমিক চিকিৎসার পর রোগীকে কলকাতায় রেফার করে দেওয়া হয়। কিন্তু পথেই মৃত্যু হয় রোগীর। এরপরেই সেই মৃতদেহ (Tamluk Hospital) নিয়ে এসে হাসপাতালে তান্ডব চালাল মৃতের পরিজনেরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সদর তাম্রলিপ্ত মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালে। চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগে রোগীর মৃত্যু হয়েছে এই অভিযোগে চিকিৎসকদের ওপরে হামলা চালায় উন্মত্ত রোগীর আত্মীয়রা।
সূত্রের খবর, বুধবার রাতের দিকে পথ দুর্ঘটনায় জখম এক ব্যক্তিকে তাম্রলিপ্ত হাসপাতালে নিয়ে আসে তার পরিজনেরা। ওই রোগীর বাড়ি তমলুকেরই নিমতৌড়ি এলাকার সোনামুইয়ে। হাসপাতাল সূত্রে খবর, ওই রোগীর অবস্থা সেই সময় অত্যন্ত খারাপ ছিল। প্রাথমিক চিকিৎসার পরেই ওই রোগীকে কলকাতায় রেফার করে দেওয়া হয়। কিছু সময় বাদেই পথে ওই রোগীর মৃত্যু হয়। মৃতের পরিজনদের দাবী, ওই রোগীকে তাম্রলিপ্ত হাসপাতালে সামান্য চিকিৎসাটুকুও করা হয়নি। তারজেরেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে।
রাতেই মৃতদেহ নিয়ে রোগীর পরিজনেরা হাসপাতাল চত্বরে ফিরে আসে। এরপরেই কর্তব্যরত চিকিৎসকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এমনকি চিকিৎসকদের আবাসনে ঢুকেও হামলা চালায় অভিযুক্তরা। এই হামলার ঘটনায় দুই চিকিৎসক জখম হয়েছেন বলে খবর। তাঁদের তাম্রলিপ্ত হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। রাত্রি ১টা থেকে সাড়ে ৩টে পর্যন্ত এই তান্ডব চলে। পরে খবর পেয়ে তমলুক থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
এদিকে পুলিশকে দেখেই পলায়ন করে হামলাকারীরা। সেই সময় ৪ জনকে পুলিশ পাকড়াও করে। এছাড়াও হামলাকারীদের ছেড়ে যাওয়া একাধিক মোটর বাইক পুলিশ বাজেয়াপ্ত করেছে। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী হাসপাতালের সুরক্ষায় থাকা বুদ্ধদেব গুচ্ছাইত জানান, “রাতে মোটরবাইকে চেপে একদল যুবক আচমকা হাসপাতালে ঢুকে এক চিকিৎসককে মারধর শুরু করে। তাঁকে বাঁচাতে গিয়ে আরও এক চিকিৎসক আক্রান্ত হয়। আমাদের ওপরে তারা চড়াও হয়েছে। পরে মেডিক্যাল কলেজ হোস্টেলের ছেলেরা ও পুলিশ চলে আসায় অভিযুক্তরা পালিয়ে যায়”।