নিউজবাংলা ডেস্ক : আজ রাতেই কলকাতায় পৌছাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি কলকাতার রাজভবনে রাত্রিবাস করবেন। তার আগেই রাজ্যপালের (WB Governor) বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ আনলেন এক মহিলা। তিনি বর্তমানে রাজভবনের পিসরুমে অস্থায়ী কর্মী হিসেবে কাজ করছিলেন বলে খবর। সংবাদ মাধ্যমের খবর, ওই মহিলা এদিন সন্ধ্যায় কাঁদতে কাঁদতে রাজভবনের পুলিশের কাছে যান। এরপরেই তিনি হেয়ারস্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
তবে বাংলার অতীত ইতিহাসে এমন নজির আগে কখনও দেখা গিয়েছে কিনা তা জানা নেই। রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কি ধরণের আইনী পদক্ষেপ নেওয়া হবে সে বিষয়েও একরাশ ধোঁয়াশা রয়েছে। এর আগে একাধিকবার রাজ্য বনাম রাজ্যপাল সংঘাত প্রকাশ্যে এসেছে। তবে এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনা আগে কোনওদিন ঘটেছে কিনা তা স্পষ্ট নয়।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে নাগাদ প্রথমে ওই মহিলা রাজভবনের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারীকের কাছে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লিলতাহানীর অভিযোগ জানাতে যান। তাঁর অভিযোগ, একবার নয় দু’বার রাজ্যপাল তাঁর শ্লিলতাহানীর চেষ্টা করেছেন। তাঁকে রাজভবনে চাকরী দেওয়া হবে এমন টোপ দেওয়া হয়। রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্য, অশ্লিল ব্যবহারের অভিযোগ তোলেন ওই মহিলা।
এরপরেই মহিলাকে রাজভবনে কর্তব্যরত পুলিশ হেয়ারস্ট্রিট থানায় খবর পাঠান। পুলিশ এসে মহিলার সঙ্গে প্রাথমিক কথাবার্তার পর তাঁকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই মহিলা রাজ্যপালের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে ৭টা নাগাদ মহিলা লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন বলে খবর। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারীকরা হেয়ারস্ট্রিট থানায় চলে এসেছেন। অভিযোগকারী মহিলার সঙ্গে কথা বলছেন তাঁরা। মহিলার অভিযোগের বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে বলে খবর।
প্রশ্ন উঠছে, ওই মহিলার সঙ্গে কি এমন ঘটেছিল যার জন্য তিনি পুলিশে অভিযোগ দায়ের করতে গেলেন। কোন পরিস্থিতিতে তিনি এমন অভিযোগ তুলেছেন। কবে কখন তাঁকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা হয়েছে, আজকের দিনেই কেন অভিযোগ দায়ের করেছেন সে সবই তদন্ত করে দেখবে পুলিশ। তবে সাধারণ মানুষের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এলে যেভাবে তদন্ত করা হয়, সেখানে রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগের তদন্ত কোন পথে এগোবে সেই দিকেই নজর থাকছে সবার।
তবে এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরেও পুলিশ বা রাজভবন থেকে কোনও বিবৃতি প্রকাশ্যে আসেনি। এদিকে প্রধানমন্ত্রী রাজভবনে থাকবেন বলে ইতিমধ্যেই রাজভবনের গেট কড়া সুরক্ষায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। একাধিক ব্যারিকেড দিয়ে রাজভবনের সামনের রাস্তা ঘিরে দেওয়া হয়েছে। এই এলাকায় সাধারণের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে প্রধানমন্ত্রীর আসার কিছু আগেই রাজভবনের কর্তার বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে সর্বত্র।
- সংবাদ সূত্র – আনন্দবাজার অনলাইন, এবিপি আনন্দ