HomeKolkataWB Governor : ঠিক কি ঘটেছিল রাজভবনের অন্দরে, কিভাবে রাজ্যপালের হাতে শ্লিলতাহানী...

WB Governor : ঠিক কি ঘটেছিল রাজভবনের অন্দরে, কিভাবে রাজ্যপালের হাতে শ্লিলতাহানী হতে হল মহিলাকে, পরবর্তী আইনী প্রক্রিয়াই বা কি হতে চলেছে ?

spot_img
spot_imgspot_img
- Advertisement -

নিউজবাংলা ডেস্ক : বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঠিক কি ঘটেছিল রাজভবনের অন্দরে। কোন কারনেই বা জনৈক মহিলা কর্মী সরাসরি রাজ্যপালের বিরুদ্ধে শ্লিলতাহানীর অভিযোগ তুলেছেন। আগামী দিনে এই মামলার আইনী প্রক্রিয়াই বা কি হতে চলেছে (WB Governor) সেই প্রশ্নই এখন ঘুরেফিরে বেড়াচ্ছে সর্বত্র। রাজভবনের  ইতিহাসে বাংলার রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এমন চাঞ্চল্যকর অভিযোগ প্রথমবার সামনে এসেছে বলে খবর। তাই এমন গুরুতর অভিযোগের পর কোন ধরনের আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে সেই সম্পর্কেই উঠে আসছে একাধিক তথ্য।

এবিপি আনন্দের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জনৈক মহিলা ২০১৯ এর ১লা জুন থেকে চুক্তিভিত্তিতে রাজভবনে কর্মরত ছিলেন। তিনি রাজভবনে বিশেষ কাজে নিযুক্ত ছিলেন। রাজ্যপাল আসার আগে থেকেই তিনি এখানে কর্মরত ছিলেন বলে খবর। এদিন পুলিশের কাছে মহিলা লিখিত অভিযোগ দায়ের করে জানান, গোটা ঘটনার সূত্রপাত ঘটেছিল এবছরের ২৪ এপ্রিল। রাজ্যপাল তাঁকে ওইদিন নিজের চেম্বারে ডেকে পাঠান। সেখানে রাজ্যপাল তাঁর চাকরীর বিষয়ে খোঁজ খবর নেন। তাঁকে পাকাপাকি ভাবে চাকরী পাইয়ে দেওয়ার টোপ দেওয়া হয়। এরপরেই তাঁর সঙ্গে অত্যন্ত কুরুচিকর ব্যবহার শুরু করেন রাজ্যপাল। ভয় পেয়ে যান মহিলা, এবং তিনি রাজভবন ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।

মহিলার অভিযোগ, এরপর থেকেই তিনি রাজ্যপালের সামনে বিশেষ যাননি। তবে আজকে সন্ধ্যায় ফের তাঁকে রাজভবনে নিজের চেম্বারে ডেকে পাঠান রাজ্যপাল। তাঁর চাকরী স্থায়ী করার কথা বলে রাজ্যপাল ডেকে পাঠান। তবে মহিলার দাবী, আগের অভিজ্ঞতা থেকেই তিনি আজ তিনি নিজের সুপারভাইজারকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্যপালের চেম্বারে যাওয়ার পরেই রাজ্যপাল ওই সুপারভাইজারকে বেরিয়ে যেতে বলেন। রাজ্যপাল জানান, মহিলার সঙ্গে একা কথা বলতে চান তিনি। সুপারভাইজার বেরিয়ে গেলেই মহিলার গায়ে হাত দেওয়ার চেষ্টা করেন রাজ্যপাল। মহিলা এর প্রতিবাদ করলেও রাজ্যপাল কোনও কর্ণপাত করেননি বলে অভিযোগ।

আরও পড়ুন : রাজভবনে মহিলা কর্মীকে একাধিকবার শ্লিলতাহানির অভিযোগ, কাঠগড়ায় খোদ রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস !

এরপরেই মহিলা রাজ্যপালের কেবিন থেকে বেরিয়ে কাঁদতে কাঁদতে রাজভবনে কর্মরত পুলিশ অফিসারদের কাছে ছুটে যান। রাজভবনের ভেতর পুলিশের আউট পোস্টে গিয়ে হাজির হন মহিলা। তাঁর অভিযোগ শুনেই হেয়ারস্ট্রিট থানায় কর্মরত এক মহিলা পুলিশ আধিকারীক গাড়ি নিয়ে রাজভবনে ছুটে যান। সেই গাড়িতেই ওই মহিলা রাজভবন থেকে হেয়ারস্ট্রিট থানায় আসেন। এবং গোটা ঘটনা লিখিত ভাবে অভিযোগ দায়ের করেন মহিলা।  

তবে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ দায়ের হলেও পুলিশ এখনই কোনও আইনী প্রক্রিয়া শুরু করতে পারবেন না বলেই খবর। কারণ, আইন অনুযায়ী রক্ষাকবচ পেয়ে থাকেন কর্মরত রাজ্যপাল ও রাষ্ট্রপতি। কোনও কর্মরত রাজ্যপাল বা রাষ্ট্রপতির বিরুদ্ধে কোনও রকম ফৌজদারী অভিযোগ দায়ের করা যায় না। সেই কারনেই রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও আইনী প্রক্রিয়া শুরু করতে পারছেন না হেয়ারস্ট্রিট থানার পুলিস।

রাজ্যপাল পদে থাকা কালীন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও মামলা শুরু করা যাচ্ছে না বলেই খবর। ফৌজদারী বিধিতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও আইনী পদক্ষেপ করা যায় না। সেই কারনেই মহিলার লিখিত অভিযোগ নেওয়া হলেও কিভাবে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে সেই বিষয়ে আইনজ্ঞদের পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে।

- Advertisement -

নিয়মিত খবরে থাকতে আমাদের সোশ্যাল সাইটে যুক্ত হয়ে যান

RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments