NewzBangla Desk : লোকসভা ভোটের আগে থেকেই ‘এক দেশ, এক ভোট’-এর আওয়াজ তুলেছিল বিজেপি। ফের সেই জল্পনা শুরু হল জাতীয় রাজনীতির অন্দরে। জানা গিয়েছে, চলতি মেয়াদেই এই নীতি কার্যকর করতে (One Nation One Poll) বদ্ধপরিকর মোদি সরকার। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্র জানিয়েছে, “এনডিএ সরকারের বর্তমান মেয়াদেই এক দেশ, এক ভোট নীতি চালু হবে। আমরা এটি বাস্তবায়িত করে দেখাব।”
তবে সমস্ত রাজনৈতিক দল এই উদ্যোগের পাশে থাকবে কিনা তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দীহান তথ্যভিজ্ঞ মহল। এর আগে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে এক দেশ, এক ভোট-এর পক্ষে সওয়াল করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তাঁর যুক্তি ছিল, বার বার ভোট হওয়ায় বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে দেশের আর্থিক বৃদ্ধি।
এবার ১০০ দিন পার করেছে নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন বর্তমান এনডিএ মন্ত্রিসভা৷ লোকসভায় বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকায় টিডিপি এবং জেডিইউ’র কাঁধে ভর করে চলতে হচ্ছে তাদের। যার জেরে নানা ইস্যুতে আর আগের মতো ‘একচেটিয়া’ সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না সরকার। সম্পত্তি করে ইনডেক্সেশন, ওয়াকফ বিল, ব্রডকাস্ট বিল সাম্প্রতিক সময়ে এমন একাধিক ইস্যুতে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে মোদি সরকার।
এমন পরিস্থিতিতে বিরোধী দলগুলি ইতিমধ্যে ‘এক দেশ, এক ভোট’কে দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোর পরিপন্থী’ বলে আখ্যা দিয়েছে। যদিও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ‘এক দেশ, এক নির্বাচন’ নীতি বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি সম্পর্কে অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন কেন্দ্রের মতামত ব্যক্ত করেছেন। অর্থমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমে জানিয়েছেন, প্রতিবছর একাধিক নির্বাচন আয়োজন করতে গিয়ে যথেষ্ট ব্যয় হয়। এই আর্থিক চাপ কেবল নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রেই নয়, উন্নয়নের গতিরোধ করার ক্ষেত্রেও অনুভূত হয়।
সীতারমন ব্যাখ্যা করেন যে, নির্বাচনী সময়কালে বারবার আদর্শ আচরণবিধি আরোপের ফলে উন্নয়নমূলক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায়। তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের তিন মাস আগে এবং ফলাফল না আসা পর্যন্ত ওই এলাকায় কোনো উন্নয়নমূলক কাজ করা যাবে না। প্রকল্পগুলি চালিয়ে যাওয়ার জন্য প্রায়শই নির্বাচন কমিশনের কাছ থেকে বিশেষ অনুমতির প্রয়োজন হয়, যা প্রশাসনে প্রশাসনিক জটিলতা যুক্ত করে।
সীতারমন আরও প্রকাশ করেন যে, সরকার ভারতের একজন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে একটি কমিটির কাছ থেকে পরামর্শ পেয়েছে এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বাধীন সরকার এই সংস্কারকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সম্পূর্ণ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। তিনি বলেন, দেশের স্বার্থে এটা করতে হবে।