নিউজবাংলা ডেস্ক : ঘোষণা করেছিলেন আগেই, বৃহস্পতিবার মাহেন্দ্রক্ষণে সম্পন্ন হল যোগদান পর্ব। এবার হাইকোর্টের বিচারকের চেয়ার থেকে জনতার (Abhijit Ganguly) আদালতে হাজির হচ্ছেন অভিজিৎ গাঙ্গুলি। এদিন সল্টলেকে বিজেপির সদর দফতরে দলের রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী প্রাক্তন জাস্টিস গাঙ্গুলির হাতে বিজেপির দলীয় পতাকা তুলে দিয়েছেন। এর পর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাঁর প্রার্থী হওয়ার জল্পনার পারদ চড়ছে পাল্লা দিয়ে।
অভিজিৎ গাঙ্গুলি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার আগে থেকেই তাঁকে পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক কেন্দ্র থেকে বিজেপির প্রার্থী করা হতে পারে বলে শুরু হয়েছিল জোরাল গুঞ্জন। সেই মতোই তমলুক কেন্দ্রে জনতার আদালতে জাস্টিস গাঙ্গুলিকে দেখা যাবে কিনা তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতেই হচ্ছে। পূর্ব মেদিনীপুরের দুই কেন্দ্র কাঁথি ও তমলুক আসনটি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নিশ্চিত উপহার দিতে বদ্ধপরিকর শুভেন্দু অধিকারী। কাঁথি কেন্দ্র থেকে শুভেন্দুর ছোট ভাই সৌমেন্দুকে বিজেপি প্রার্থী করেছে। তাই তমলুক কেন্দ্রের দিকে নজর থাকছে সবার।
আরও পড়ুন : মধুচন্দ্রিমায় এসে দিঘার হোটেল থেকে মরণ ঝাঁপ তরুণীর, কারণ ঘিরে ধোঁয়াশা !
এদিন গেরুয়া শিবিরে যোগ দিয়েই রাজ্য থেকে তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করার ডাক দিলেন প্রাক্তন বিচারপতি। বাংলার দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর লড়াইয়ের বার্তাও দিলেন তিনি। অভিজিতের বিজেপিতে যোগদান কর্মসূচির মঞ্চে সুকান্ত মজুমদার, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী, রাজ্য বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক মঙ্গল পাণ্ডে, সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়, বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। সুকান্ত বলেন, ‘এক জন বিশিষ্ট ব্যক্তি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বিজেপি পরিবারে যোগ দিয়েছেন। আগামী দিনে বিজেপি তাঁকে নির্বাচনে এবং অন্যান্য জায়গায় ব্যবহার করবেন।‘
পদ্মশিবিরে যোগ দিয়ে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘আমি সর্বভারতীয় দলে যোগ দিলাম। এমন একটি দল যার মাথায় নরেন্দ্র মোদী-অমিত শাহরা রয়েছেন। আমি দলের শৃঙ্খলাবদ্ধ সৈনিক হিসাবে কাজ করতে চাই। আজ আর বিশেষ কিছু বলার নেই। আমাদের লক্ষ্য পশ্চিমবঙ্গ থেকে রাজ্যের একটি দুর্নীতিগ্রস্ত দলের বিদায় দেওয়া। যাতে ২০২৬ সালে আর তারা ক্ষমতায় আসতে না পারে। এই দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর লড়াই যাতে শুরু করা যায়, তার জন্যই বিজেপিতে যোগ দিয়েছি। আমাকে যা দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা পালন করব।’
অন্যদিকে শুভেন্দু বলেন, ‘‘আমি এটুকুই বলব যে রাজ্যের রাজনীতিতে এ রকম এক জনের প্রয়োজন ছিল। তিনি তাঁর যে লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছিলেন, তখন তাঁকে আক্রমণ করা হয়েছে। তাঁর কাজ করার ক্ষমতা কেড়েও নেওয়া হয়েছিল। যোগদানের আগে তিনি অমিত শাহের আশীর্বাদ গ্রহণ করেছেন। রাজ্য থেকে পরিবারবাদী এবং তোষণকারী সরকারকে ফেলতে পারব।‘