নিউজবাংলা ডেস্ক : মোটা অঙ্কের টাকা লোন পাইয়ে দেওয়ার নাম করে এক যুবতী’কে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল একটি জনপ্রিয় কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্ক ব্যাঙ্কের ম্যানেজারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়েই ঘটনার তদন্তে নেমে কাঁথি থেকে অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক (Bank Manager Arrest) ম্যানেজারকে গ্রেফতার করেছে কাঁথি মহিলা থানার পুলিশ। ধৃত ম্যানেজার মানস প্রসাদ ঘটককে কাঁথি মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাঁকে জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ম্যানেজারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (১) ও ৫০৬ সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।
সূত্রের খবর, দীর্ঘ কয়েক বছর ধরেই অভিযুক্ত ব্যাঙ্ক ম্যানেজার মানস প্রসাদ ঘটক ওই কো-অপারেটিভ ব্যাঙ্কের রামনগর শাখায় ম্যানেজার পদে নিযুক্ত রয়েছেন। কাঁথি শহরে একটি বিউটি পার্লারে যাওয়ার সুবাদে সেখানে কর্মরত এক যুবতীর সঙ্গে ওই ম্যানেজারের মেয়ের পরিচয় হয়। সেই সুবাদে ওই যুবতী ব্যাঙ্ক ম্যানেজারের মেয়ের সঙ্গে লোন নিয়ে ব্যবসা বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা করেন। ম্যানেজার মানস মেয়ের কাছে যুবতীর অসহায়তার কথা শুনে তাঁকে মোটা অঙ্কের টাকা লোন পাইয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়।
গত এপ্রিল মাসে লোন সংক্রান্ত কথা বলার জন্য ওই যুবতীকে নিজের আবাসনে ডেকে পাঠায় ম্যানেজার ওই ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। সেই সময় ম্যানেজারের স্ত্রী, ছেলে ও মেয়ে কেউ ছিল না বলে অভিযোগ। সেসময়ই জোরপূর্বক ওই যুবতী’কে ধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। প্রথমে যুবতী ভয়ে গুটিয়ে গেলেও পরে গত ১লা মে কাঁথি মহিলা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। অভিযোগের ভিত্তিতেই বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় কাঁথি শহর থেকে অভিযুক্ত ম্যানেজারকে গ্রেফতার করা হয়।
কাঁথি মহিলা থানায় এক পুলিশ আধিকারিক জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে ব্যাঙ্ক ম্যানেজারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুরো ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের আগে কিছু বলা সম্ভব হবে না। অন্যদিকে অভিযুক্ত ম্যানেজারের আইনজীবী অসীম চক্রবর্তীর দাবী, “আমার মক্কেলের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা সাজানো হয়েছে। আমার মক্কেলকে ফাঁসানো হয়েছে। কাঁথির বাসিন্দা হয়েও কাঁথি শাখায় লোনের জন্য না গিয়ে রামনগরে শাখায় মহিলা কেন গেলেন” সেই প্রশ্নও তুলেছেন তিনি। পাল্টা অভিযোগকারীনি যুবতীর আইনজীবী অর্নিবান চক্রবর্তী বলেন, “অপরাধের ঘটনা ঘটেছে। আদালত বিষয়টি বিবেচনা করে দেখছে। অভিযুক্তের জেল হাজতে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক”।