নিউজবাংলা : শিক্ষাগত যোগ্যতা সপ্তম শ্রেণি। সঙ্গে সাইকেল চালানো জানতে হবে। এই দুই শর্ত পূরণ করতে পারলেই বসা যাবে কেরলের পিওনের চাকরির পরীক্ষায়। তবে চাকরিপ্রার্থীর বড় কোনও ডিগ্রি থাকলে চলবে না, তা স্পষ্ট করা (Employment News) আছে নির্দেশিকায়। কিন্তু তাসত্ত্বেও ‘ডিগ্রি লুকিয়ে’ বছরের পর বছর কেরল পাবলিক সার্ভিস কমিশন আয়োজিত ওই চাকরির জন্য আবেদন করে চলেছেন বিটেক উত্তীর্ণরাও।
তালিকায় রয়েছেন অন্যান্য বিষয়ের স্নাতকরাও। এবারও তার অন্যথা হয়নি। বিগত কয়েকদিন ধরে চলছে নিয়োগ প্রক্রিয়া। সেখানে সাইকেল চালানোর পরীক্ষা দিতে হাজির হচ্ছেন উচ্চশিক্ষিতরাও। যা দেখে নিয়োগকর্তারা রীতিমতো তাজ্জব। কিন্তু, কেন এই পরিস্থিতি। কর্তারা বলছেন, ‘চাকরির নিরাপত্তা’। বেসরকারি ক্ষেত্রে সবসময় ছাঁটাইয়ের ভয় থাকে। কিন্তু, সরকারি চাকরিতে তা নেই। তার সঙ্গে বেতনের নিশ্চয়তাও রয়েছে। সেটাই উচ্চশিক্ষিতদেরও পিওনের চাকরিতে টেনে আনছে।
বিটেক পাশ করা এক চাকরিপ্রার্থীর কথায়, ‘আইটি সেক্টরে কাজ করি। তাতে দিনে গড়ে ১২ ঘণ্টা করে অফিস করতে হয়। তার মধ্যে যখন-তখন চাকরি চলে যাওয়া ভয় রয়েছে। এর তুলনায় সরকারি পিওনের চাকরি অনেক ভালো।’ কেরল সরকার সূত্রে খবর, পিওনের চাকরিতে বেতন ২৩ হাজার টাকার মতো। এবছর নির্বাচিত চাকরিপ্রার্থীদের সাইকেল চালানোর পরীক্ষার জন্য ২৬ ও ২৭ তারিখ ডাকা হয়েছিল। সেখানেই এই চিত্র ধরা পড়েছে।