নিউজবাংলা ডেস্ক : পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলের নির্দেশ উপেক্ষা করে প্রার্থী হয়েছেন অনেকেই। সেই তালিকায় রয়েছেন অতি প্রভাবশালী নেতা থেকে শুরু করে ব্লক বা পঞ্চায়েত স্তরের কর্মীও। তবে দলেরই ভোট কাটাকাটিতে আখেরে বিরোধী শিবিরকে সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে বৃহস্পতিবার রাজ্য জুড়ে প্রায় ২০০ বিদ্রোহী তৃণমূল নেতাকে সাসপেন্ড করা হয়েছে বলে তৃণমূল সূত্রে খবর(Panchayet Election 2023)। এর মধ্যে সব চেয়ে বেশী পূর্ব মেদিনীপুরেই সাসপেন্ড নেতা নেত্রীর সংখ্যা ৪৩ জন বলে তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে।
এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণার পর দলের ভাবমূর্তি ফেরাতে রাজ্য জুড়ে ত্রিস্তর নির্বাচনে নতুন মুখের ওপর ভরসা রেখেছে তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব। প্রার্থী বাছাইয়ে বাদ পড়েছেন বহু পোড় খাওয়া নেতা নেত্রী ও তাঁদের অনুগামীরা। যেখানেই নেতাদের নিয়ে বিতর্ক হয়েছে সেখানেই আমূল বদলে ফেলা হয়েছে প্রার্থী তালিকা। এই নিয়ে দলের অন্দরে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বের এহেন সিদ্ধান্তে অখুশী অনেকেই এবার নির্দলে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন দলীয় প্রার্থীদের বিরুদ্ধেই। এর জেরে অনেক জায়গাতেই ভোট কাটাকাটির অংকে লাভের মুখ দেখছেন বিরোধী বাম ও বিজেপি শিবির। এই নিয়ে রাজ্য নেতৃত্ব বারেবারে হুঁশিয়ারি দিলেও তৃণমূলর দাপুটে নেতা নেত্রীরা পিছিয়ে যেতে নারাজ। পরিবর্তে নির্দল হিসেবে জোরদার প্রচার করে নিজের জমি ধরে রাখতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছেন।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় সাসপেন্ডের তালিকায় থাকা নেতা নেত্রীদের নাম শুনে নিন সৌমেন মহাপাত্রের মুখ থেকে।
অবশেষে এই সমস্ত বিদ্রোহী নেতা নেত্রীদের উচিত শিক্ষা দিতে সরাসরি সাসপেনশানের পথে হাঁটল তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্বরা। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুকে সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র সাংবাদিক সম্মেলনে এই জেলার এমন ৪৩জন নেতা নেত্রীকে সাসপেন্ড ঘোষণা করেছেন।
তৃণমূল সূত্রে খবর, এই সাসপেনশানের তালিকায় রয়েছেন বীরভূমে ১৫ জন, হুগলির ২৫ জন, হাওড়ায় ১৩ জন, ঝাড়গ্রামে ১৪ জন, মুর্শিদাবাদে ২৫ জন এবং পশ্চিম মেদিনীপুরে ৩৯ জন। সৌমেন জানিয়েছেন, “পরবর্তী নির্দেশ না আসা পর্যন্ত এই নেতানেত্রীদের সাসপেনশান বলবৎ থাকবে। দলের জেলার গুরুত্বপূর্ণ নেতা, জেলা বা ব্লকের সদস্য, কেউ বুথ সভাপতি হয়েও নির্দলে প্রার্থী হওয়ার দরুণ এই শাস্তি ঘোষণা” বলে জানিয়েছেন তিনি।