নিউজবাংলা ডেস্ক : উষ্ণতার নিরিখে মঙ্গলবার সর্বকালীন রেকর্ড সৃষ্টি হল রাজ্যে। পশ্চিম মেদিনীপুরের কলাইকুণ্ডায় এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছয়। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের রেকর্ড অনুযায়ী (Weather Report) এতদিন রাজ্যে সর্বকালীন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড ছিল বীরভূমের শান্তিনিকেতনে। ১৯৬৬ সালের ১০ জুন সেখানে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৭ ডিগ্রি হয়েছিল। সোমবার কলাইকুণ্ডা (সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪৫.৪ ডিগ্রি) দেশের মধ্যে উষ্ণতম স্থান ছিল বলে কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছিল।
আজ বুধবার ও কাল বৃহস্পতিবার বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, মুর্শিদাবাদ জেলার কোথাও কোথাও তীব্র তাপপ্রবাহের লাল সতর্কতা জারি রেখেছে আবহাওয়া দপ্তর। বাকি সব জেলার কোথাও কোথাও তীব্র ও সাধারণ তাপপ্রবাহের কমলা সতর্কতা থাকছে। শুক্র ও শনিবার দক্ষিণবঙ্গের সর্বত্র সাধারণ তাপপ্রবাহের পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে।
তবে স্বস্তির খবর বয়ে আনবে সপ্তাহের শেষ দিন দিন রবিবার। এদিন থেকেই পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে শুরু করবে বলে মনে করছে আবহাওয়া দপ্তর। ওইদিন উপকূলবর্তী তিন জেলা, দুই ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর জেলাতে হাল্কা বৃষ্টির পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। সোমবার দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতে বজ্রপাত সহ হাল্কা থেকে মাঝারি মাত্রায় বৃষ্টির পূর্বাভাস জারি করেছে আলিপুর আবহাওয়া অফিস। সোমবারের পরেও কয়েকদিন বজ্রগর্ভ মেঘ থেকে ঝড়বৃষ্টির অনুকূল পরিস্থিতি থাকতে পারে। বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া উচ্চ বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের মাত্রা বৃদ্ধির কারণে অবশেষে ঝড়বৃষ্টি হওয়ার মতো অবস্থা তৈরি হতে চলেছে।
এদিকে বেশ কিছুদিন বাদে মঙ্গলবার বিকেলের পর পূর্ব – পশ্চিম মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার সুন্দরবন এলাকায় বজ্রগর্ভ মেঘ তৈরি হয়। কোথাও কোথাও বৃষ্টি হওয়ায় মানুষ গরম থেকে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন। এপ্রিল মাসে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলাতেই স্বাভাবিকের থেকে অনেক কম বৃষ্টি হয়েছে। মে মাসে পরিস্থিতির কতটা পরিবর্তন হয়, সেটাই এখন সেটাই এখন দেখার। আলিপুর আবহাওয়া অফিসের অধিকর্তা হাবিবুর রহমান বিশ্বাস জানিয়েছেন, ঝড়বৃষ্টির মাত্রা কতটা হবে, তা কয়েকদিনের মধ্যে আরও ভালোভাবে বোঝা যাবে৷
তাপপ্রবাহ শনিবার পর্যন্ত থাকলেও এবার তাপমাত্রা কিছুটা কমবে বলে আশা করছেন আবহাওয়াবিদরা। কেন্দ্রীয় আবহাওয়া দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল সোমনাথ দত্ত জানিয়েছেন, এবার উত্তর দিকে হাওয়া প্রবাহিত হবে। উত্তরে তাপমাত্রা তুলনামূলকভাবে এখন কম থাকায় এর প্রভাবে এখানেও তাপমাত্রা কমবে। উত্তুরে হাওয়ার প্রভাব প্রথমে পড়বে উত্তরবঙ্গে। এতদিন উত্তর-পশ্চিমী উষ্ণ ও শুষ্ক বাতাস ঢুকছিল দক্ষিণবঙ্গে। তীব্র থেকে সাধারণ তাপপ্রবাহের জন্য মূলত দায়ী ছিল এই বাতাস। গরম হাওয়া বা লু প্রবাহিত হওয়ার কারণ ছিল এই বাতাস।