নিউজবাংলা ডেস্ক : কেন্দ্রীয় হারে ডিএ’র দাবীতে রাজ্য জুড়ে সরকারী কর্মচারী সংগঠনের আন্দোলনের মাঝেই গত ১৫ ফেব্রুয়ারী বাজেট অধিবেশনে ৩% ডিএ দেওয়ার ঘোষণা করেছিলেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। এবার সেই মতোই বিজ্ঞপ্তি জারি করল নবান্ন। আগামী ১লা মার্চ থেকে রাজ্য সরকারী কর্মচারীরা বর্ধিত হারে ডিএ পাবেন বলে জানানো হয়েছে। এর আগে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে ৩ শতাংশ হারে ডিএ বাড়িয়েছিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। এর ফলে রাজ্য সরকারী কর্মচারীদের ঝুলিতে সব মিলিয়ে ৬% ডিএ যুক্ত হচ্ছে বলে খবর।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী এবছরের ১লা মার্চ থেকে সরকারি কর্মচারী, সরকার অনুমোদিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সরকার অনুমোদিত স্বশাসিত সংস্থা, সরকার অধিগৃহীত সংস্থা, পঞ্চায়েত কর্মী, পুরসভা, পুর নিগম এবং অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীরা বর্ধিত হারে ডিএ পাবেন। তবে এতে কোনও ভাবেই খুশী নয় রাজ্য সরকারী কর্মচারী সংগঠনগুলি। তাঁদের অধিকাংশই ৩৫% কেন্দ্রীয় হারে ডিএ’র দাবীতে অনড়। তাই আগামী ১০ মার্চ কেন্দ্রের হারে ডিএ’র দাবীতে প্রশাসনিক ধর্মঘট হবে বলেই অধিকাংশের দাবী।
ইতিমধ্যে রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটি, বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতি’র মতো সংগঠনগুলি রাজ্য সরকারের দেওয়া ৬% ডিএ নিয়ে প্রকাশ্যেই নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। এই দুই সংগঠনই দাবী জানিয়েছে, বর্ধিত ডিএ সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরেও নিজেদের দাবীতে তাঁরা অনড় থাকছে। কেন্দ্রের হারে ডিএ না পাওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন চলবে।
যদিও তৃণমূল পন্থী কর্মচারী সংগঠন কিছুটা ধীরে চলো নীতি নিয়ে এগোচ্ছে। আগামী ১৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে ডিএ সংক্রান্ত মামলার শুনানি’র দিকে নজর রেখেছে তারা। তবে রাজ্যের দেওয়া ডিএ নিয়ে কর্মচারী সংগঠনগুলি যেভাবে আন্দোলন মুখী হয়ে রয়েছে তাতে আগামী দিনে পরিস্থিতি যথেষ্ট উদ্বেগজনক হবে বলেই মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল।