নিউজবাংলা ডেস্ক : প্রতিহিংসা চরিতার্থ করা থেকে পারিবারিক হিংসা মামলা, বহু ক্ষেত্রেই অভিযোগ ওঠে অযথা পুলিশি হয়রানি, গ্রেফতারির মতো ঘটনা ঘিরে। এমনকি উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ পেশ না করেও অভিযুক্তকে পুলিশি হেফাজত বা জেল হেফাজতে নেওয়ার অভিযোগ (Legal Guideline) ওঠে বিস্তর। এবার অযথা গ্রেপ্তারি এবং বেআইনি আটক ঠেকাতে কড়া নির্দেশিকা জারির নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট। আর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মতোই রাজ্যে নিম্ন আদালতগুলির জন্য কার্যবিধি সংক্রান্ত নির্দেশিকা জারি করল হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের তরফে জারি করা ওই নির্দেশে জানানো হয়েছে, ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১ নম্বর ধারা পুরোপুরি নিশ্চিত করে তবেই গ্রেপ্তারি এবং আটকের মতো পদক্ষেপ করতে পারবে পুলিস। সংশ্লিষ্ট বিধি মাথায় রেখেই নিম্ন আদালতগুলিকেও কাজ করতে হবে। ওই নির্দেশিকায় আরও জানানো হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী ৪৯৮এ ধারায় অভিযোগ পেলেই গ্রেপ্তার করা যাবে না। তদন্ত করে উপযুক্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ মিললে তবেই গ্রেপ্তারির পদক্ষেপ করা যাবে।
এছাড়াও অন্য অপরাধে গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪১ নম্বর ধারার অন্তর্ভুক্ত সমস্ত বিধি পূর্ণ করে গ্রেপ্তারের কারণ লিখিত আকারে পুলিসকে নিম্ন আদালতে জমা দিতে হবে। পুলিসি রিপোর্ট দেখে পুরোপুরি নিশ্চিত হলে তবেই কাউকে হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেবেন ম্যাজিস্ট্রেটরা। এছাড়া কোনও অভিযোগের ক্ষেত্রে গ্রেপ্তার অপ্রয়োজনীয় হলে, তার কারণ দু’সপ্তাহের মধ্যে ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে লিখিত আকারে জানাতে বাধ্য থাকবেন আইও।
হাইকোর্টের তরফে জারি করা ওই নির্দেশিকায় স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে, গ্রেপ্তারের ক্ষেত্রে এই নির্দেশগুলি না মানলে সংশ্লিষ্ট পুলিস আধিকারিকের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত হবে এবং তারা আদালত অবমাননার দায়ে পড়বেন। এছাড়াও হেফাজতে পাঠানোর ক্ষেত্রে আইনসঙ্গত এবং নির্দিষ্ট কারণ না থাকলে ম্যাজিস্ট্রেটরাও আদালত অবমাননার দায়ে পড়বেন। জানানো হয়েছে ওই নির্দেশিকায়।
তথ্যসূত্র – বর্তমান পত্রিকা