নিউজবাংলা ডেস্ক : দেশজুড়ে লাগু হয়ে গেল সিএএ। আজ সোমবার ১১ই মার্চ ২০২৪ তারিখ থেকে দেশজুড়ে নাগরিকত্ব আইন চালু হয়েছে। তবে সিএএ (Citizenship Amedment Act (CAA)) আইন লাগু ঘোষণার আগেই কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবী, “৪ বছর আগে সিএএ আইনে রাষ্ট্রপতিসম্মতি দিলেও লোকসভা নির্বাচন ঘোষণার ঠিক আগেই কেন সিএএ লাগু করা হল?”।
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, “এটা বিজেপির পাবলিসিটির অঙ্গ। ৪ বছর আগে আইন পাশ হলেও নির্বাচনের দিন ঘোষণার আগেই কেন এটা লাগু করা হচ্ছে। এটা একটা রাজনৈতিক পরিকল্পনা। ধর্ম বৈষম্য আমরা মানি না”। মমতা জানান, “যদি সিএএ দেখিয়ে এনআরসি দেখিয়ে এখানকার কারও নাগরিকত্ব ক্যানসিল করা হয় তাহলে আমরা ছাড়ব না। এনআরসি আমরা মানতেই পারি না। সিএএ লাগু করে কাউকে ডিটেনশান ক্যাম্পে ঢুকিয়ে দেবে এটা আমরা মানব না”।
মমতা জানান, “এটা মানুষের সঙ্গে ছলনা, কেউ যদি খুশি হয় আমি খুশি, তবে কেউ যদি দুঃখি হয় তাহলে আমিও দুঃখি। যারা ভারতে আছে তাঁরা সকলেই নাগরিক। তাঁদের সকলের অধিকার রক্ষা করা আমাদের দায়িত্ব। এই নতুন আইন কারও আগের অধিকার বাতিল করে দেওয়া হবে না তো”। তাঁর প্রশ্ন, “এই মানুষদের ভোটেই পঞ্চায়েত, বিধানসভা, লোকসভা হয়েছে। তাহলে তাদের অধিকার হরণ করা হবে কেন”। মমতার মতে, “নর্থ ইস্টার্ন রিজিয়ানে এটা খুব সেনসিটিভ। ইলেকশানের আগে পায়ে পা লাগিয়ে কোনও প্ররোচনা শুরু হোক আমি চাই না। রমজান মাসের আগেই এটা করা হচ্ছে কেন আমি জানি”।
মমতার মত, “আমি বলব আপনারা রমজান, রামনবমি পালন করুন। আধার যখন বাতিল করা হচ্ছিল আমরা প্রতিবাদ করেছি, কারও অধিকার যদি হরণ করা হয় তৃণমূল কংগ্রেস তার বিরুদ্ধে লড়বে। রাতের অন্ধকারে মানুষের জীবনে অন্ধকার নামিয়ে আনবেন না। মধ্যরাতে এমন কিছু করবেন না, এটা ফ্রিডম এট মিড নাইট নয়। সাহস থাকলে ৪ বছর অপেক্ষা করে ইলেকশানের আগে কেন লাগু করছেন”।
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে মমতা জানান, “গ্যাসের দাম থেকে ৭০ হাজার কোটি মুনাফা করেছেন, আর ১০০টাকা ছাড় দিচ্ছেন। ভাঁওতা দিয়ে মানুষকে ঠকাবেন না। সিএএ’র নামে নাগরিকত্ব কেড়ে নেওয়া হলে তা রুখে দেব। মানুষের বাঁচার অধিকার কেড়ে নেবেন না”।