NewzBangla, Digha : জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র মন্দারমনি ও দিঘায় মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে তিন দফা অভিযানে প্রকাশ্যে এলে হোটেল ব্যবসার আড়ালে চলতে থাকা বড়সড় মধুচক্রের হদিশ। দীর্ঘদিন ধরেই প্রশাসনের নাকের ডগায় রমরমিয়ে চলছিল এই দেহ ব্যবসা। তবে এবার পুলিশি অভিযান শুরু হতেই একে একে প্রকাশ্যে আসতে শুরু (Digha) করেছে এই অবৈধ কারবারের খুঁটিনাটি। যার জেরে নষ্ট হচ্ছে সৈকত নগরীর ঐতিহ্য।
পুলিশ সূত্রে খবর, মন্দারমনির দুই হোটেলে মধুচক্রের পর্দাফাঁস হওয়ার পর এবার ওল্ড দিঘার একটি হোটেলেও একই ভাবে অবৈধ দেহ ব্যবসার হদিশ পাওয়া গিয়েছে। ইতিমধ্যে ওই হোটেলটি থেকে ৬ যুবতীকে পুলিশ পাকড়াও করা হয়েছে। তবে পুলিশ অত্যন্ত গোপনে অভিযান চালালেও তাদের পৌঁছানর আগেই হোটেলের ম্যানেজার সহ কর্মীরা বেপাত্তা। তাঁরা দেহ ব্যবসায় যুক্ত যুবতীদের হোটেলে ফেলে রেখেই চম্পট দিয়েছে বলে খবর। সেই সঙ্গে হোটেলে কোনও খদ্দেরও ছিল না বলে জানা গেছে। অভিযুক্তদের ধরতে তল্লাশি চলছে বলে দিঘা কোস্টাল থানার পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।
এর আগে কয়েকদিনের মধ্যে দু’দফায় মন্দারমণিতে মধুচক্রের বিরুদ্ধে অভিযান হয়েছে। প্রথম দফায় ২৬ জুলাই মন্দারমণির একটি হোটেল থেকে ম্যানেজার, কর্মী, এজেন্ট, খদ্দের মিলিয়ে ১৩জনকে গ্রেপ্তার এবং ছয় যুবতীকে উদ্ধার করেছিল মন্দারমণি কোস্টাল থানার পুলিস। তারপর ৩১ জুলাই রাতে মন্দারমণিতেই ফের অভিযানে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। উদ্ধার হয় পাঁচ যুবতী।
[আরও পড়ুন : B-Ed Exam : নতুন করে বিএড নিতে নির্দেশ হাইকোর্টের ] |
সূত্রের খবর, একাংশ অসাধু হোটেল মালিক বিভিন্ন জেলা থেকে যুবতীদের মোটা টাকার বিনিময়ে এনে দেহব্যবসার কাজে লাগাচ্ছে। মোটা টাকার বিনিময়ে ওই যুবতীদের হোটেলে পর্যটকদের ঘরে পাঠানো হচ্ছে। এমনকী, মোবাইলে ছবি পাঠিয়ে পছন্দমতো যুবতী সরবরাহ করা হচ্ছে।
বারবার এমন অভিযোগ পেয়ে মন্দারমণি সহ উপকূলের বিভিন্ন থানার পুলিস নড়েচড়ে বসেছে। লাগাতার অভিযান চলছে। উপকূলের থানাগুলির দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিএসপি (ডিঅ্যান্ডটি) আবু নুর হোসেন বলেন, এধরনের বেআইনি কারবারের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান জারি থাকবে। আমরা এলাকার বিভিন্ন হোটেলে নজরদারি জোরদার করছি।