নিউজবাংলা ডেস্ক : মালদার কালিয়াচকে একই পরিবারের ৪ সদস্যকে খুন করে বাড়ির নীচের সুড়ঙ্গে পুঁতে রাখার মতো নৃশংস ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে গতকালই। এই ঘটনার মাস্টার মাইন্ড মহম্মদ আসিফকে ইতিমধ্যে হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ। কিন্তু ধৃতকে জেরা করে এবার এক অন্য রহস্যের গন্ধ পাচ্ছেন তদন্তকারীরা। এবার ধৃত আসিফকে জেরা করে বিপুল পরিমানে গুলি ও বন্দুকের হদিশ পেয়েছে পুলিশ।
সেই সঙ্গে আসিফের বন্দুক ও গুলি লুকিয়ে রাখার অভিযোগে তাঁর দুই বন্ধু সাবির আলম ও মাহফুজ সেখকেও পুলিশ গ্রেফতার করেছে। ধৃতদের কাছ থেকে ৫টি নাইন এম এম বন্দুক, ১০টি ম্যাগাজিন এবং ৮০ রাউন্ড গুলি বাজেয়াপ্ত হয়েছে। এই কারনে খুনের মামলার পাশাপাশি আসিফের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আলাদা মামলা রুজু করেছে পুলিশ।
সোমবার ধৃত আসিফ সহ তাঁর দুই বন্ধুকে আদালতে তোলা হয়েছে। এর মধ্যে আসিফকে ১২ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানিয়েছে পুলিশ এবং তাঁর দুই বন্ধু সাবির ও মাহফুজকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে বলে খবর।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার ৭-৮দিন আগেই দুই বন্ধুর কাছে বন্দুক, ম্যাগাজিন ও গুলি রাখতে দেয় আসিফ। এই অস্ত্রগুলি কি কারনে জড়ো করেছিল সে, কোথা থেকেই বা এতগুলি বন্দুক, ম্যাগাজিন ও গুলি সংগ্রহ করেছিল আসিফ তা নিয়ে রীতিমতো ধ্বন্দ্বে রয়েছে পুলিশ। আসিফকে জেরা করে অস্ত্র সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চাইছেন তদন্তকারীরা।
অন্যদিকে খুনের ঘটনার তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, বাড়ির সুড়ঙ্গে ৫টি ৫ফুট বাই ৭ ফুটের গর্ত মিলেছে। পরিবারের সদস্যদের ঘুমের ওষুধ খাইয়ে এই গর্তগুলিতে শুইয়ে দেওয়ার পর সেখানে জল ভরে দেওয়া হয়েছে। তবে আসিফের বড় ভাই আরিফ দাবী করেছে শেষ মুহূর্তে জ্ঞান ফিরে আসায় সে বেরিয়ে পালিয়ে গিয়েছিল।