NewzBangla, Egra : প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে এমন সন্দেহ থেকে বুধবার রাতের দিকে দল বেঁধে ওই যুবকের বাড়িতে চড়াও হয়েছিল একদল যুবক। সেই সময় ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে ওই দুষ্কৃতীদের প্রহারে প্রাণ হারালেন প্রৌঢ় বাবা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি (Egra Crime) ঘটেছে এগরা ১নং ব্লকের রাসন গ্রামে। মৃত ব্যক্তির নাম দীপক বেরা (৫৫)। ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে পাঠিয়েছে। সেই সঙ্গে মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এগরা থানার পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হামলায় মূল অভিযুক্ত সদানন্দ দাস কর্মসুত্রে ভীন রাজ্যে থাকে। গত প্রায় মাস খানেক আগেই বাড়ি ফিরেছে সে। তবে তাঁর অবর্তমানে প্রতিবেশী অমিত দাসের সঙ্গে স্ত্রীর অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে বলে সন্দেহ করে প্রথমে স্ত্রীকে মারধর করে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়। এরপর গতকাল রাতে অমিতের বাড়িতে এসে তাঁর ওপরেও হামলা চালায়। যদিও অমিতের পরিবারের দাবী, নিছক সন্দেহের বশেই সদানন্দ এই হামলা চালিয়েছে। অমিতের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর এমন কোনও সম্পর্ক নেই বলেই দাবী পরিবারের।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, বুধবার রাত্রি প্রায় সাড়ে ১০টা নাগাদ সদানন্দ দলবল নিয়ে অমিতের বাড়িতে এসে তার ওপর চড়াও হয়। ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন দীপক , স্ত্রী কাজল ও মেয়ে মহুয়া। দুষ্কৃতীরা লাঠি, বাঁশ নিয়ে তাঁদের মারধর করতে থাকে। সেই সময় অমিত কোনও রকমে বাড়িতে ঢুকে গেলেও দুষ্কৃতীদের মারে লুটিয়ে পড়েন দীপক। পরে তাঁকে আশংকাজনক অবস্থায় এগরা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। তবে এই ঘটনার পরেই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়।
মৃতের ভাগনা রাজীব পুষ্টি জানা, “বুধবার রাতের দিকে প্রতিবেশী চার থেকে পাঁচ জন ব্যক্তি লাঠিসোটা নিয়ে ভাইয়ের ওপর হামলা চালায়। তাঁকে বাঁচাতে গেলে মামার ও দুষ্কৃতীরা চড়াও হয়। সেই সময় দুষ্কৃতীরা মামার ছাতিতে সজোরে ধাক্কা দেয়। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়ে মামা। তা দেখেই ওই দুষ্কৃতীরা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে মামাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎকরা তাঁকে মৃত বলে জানায়”। তিনি আরও জানান, “এই ঘটনায় আমরা এগরা থানায় লিখিত অভিযোগ জানিয়েছি৷ যারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে তাঁদের কঠোর শাস্তির দাবী জানাচ্ছি”।