নন্দীগ্রাম, পূর্ব মেদিনীপুর : পরিত্যক্ত ভাবে পড়ে থাকা বোমাকে বল ভেবে খেলতে গিয়েই বড়সড় বিপত্তি ঘটে গেল নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের কালীচরণপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের জাদুবাড়িচক গ্রামে। হাত থেকে বোমা পড়ে যেতেই জোরাল বিস্ফোরণ ঘটে যায়। এর জেরে গুরুতর জখম হয় দুটি মেয়ে ও একটি ছেলে।
তাঁদের তড়িঘড়ি নন্দীগ্রাম জেলা সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর এক জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁকে তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে সেখানেই ওই মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। মৃতের নাম জাহিরুন খাতুন (৯)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকেল নাগাদ এলাকারই একটি পরিত্যক্ত বাড়িতে বোমাগুলি পড়ে থাকতে দেখে সেগুলিকে তুলে নিয়ে যায় ওই শিশুরা। এরপর সন্ধ্যে নাগাদ বাড়িতে বোমা নিয়ে খেলতে গিয়েই হাত থেকে একটি বোমা পড়ে যায়।
মারাত্মক শব্দে বিস্ফোরণে হতভম্ব হয়ে যান এলাকাবাসীরা। দ্রুত ওই বাড়িতে ছুটে আসার পর ৩ শিশুকে রক্তাক্ত অবস্থায় কাতরাতে দেখেন তাঁরা। দ্রুত বাচ্চাদের উদ্ধার করে নন্দীগ্রাম সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গোটা ঘটনা ঘিরে ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ সভাপতি প্রলয় পালের দাবী, “ওই এলাকাটি তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি। এখানে বিজেপির কোনও নেতা বা কর্মীকে দূরবীন নিয়েও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
তাই এই বোমাগুলি তৃণমূলের লোকেরাই মজুদ রেখেছিল” বলে দাবী তাঁর। প্রলয় জানান, “নন্দীগ্রামে বজরং পুজোয় যাওয়া ভক্তদের গাড়িতে এই এলাকাতেই হামলা হয়েছিল। বোমা মজুদ কারা করেছিল তার তদন্ত হলেই আসল সত্য উঠে আসবে”।