কাঁথি, পূর্ব মেদিনীপুর : “আমি এখনও তৃণমূলের একজন সাংসদ। তবে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন নিয়ে দলের তরফে আমাকে কিছুই জানানো হয়নি। তবুও আমি দলের একজন সাংসদ হিসেবেই নিজের দায়িত্ব ও কর্তব্য পালন করেছি”। সোমবার দিল্লীতে সংসদ ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দানের পর এমনই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। এই নির্বাচনে কোন প্রার্থী জিতবেন জানতে চাইলে দিব্যেন্দুর উক্তি, “এই বিষয়ে কিছুই বলার অপেক্ষা রাখে না”।
দাদা শুভেন্দু অধিকারী ২০১৬ সালে তমলুক লোকসভা আসন ছেড়ে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে তৃণমূলের হয়ে লড়াই করার সময় প্রথমবার উপনির্বাচনে তমলুক কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের সাংসদ নির্বাচিত হয়েছিলেন অধিকারী পরিবারের সেজ ছেলে দিব্যেন্দু। এরপর ২০১৯ –এর লোকসভা নির্বাচনে দিব্যেন্দু পুনরায় তমলুক লোকসভায় তৃণমূলের টিকিটে জয়লাভ করেন। একটা সময় অধিকারী পরিবারের কথাতেই বাঘে গরুতে একঘাটে জল খেত পূর্ব মেদিনীপুরে। সে সময় দিব্যেন্দুর জনপ্রিয়তাও ছিল যথেষ্ট।
তবে ছন্দপতন হয় ২০২০ এর ডিসেম্বরে যখন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকেই দিব্যেন্দুর সঙ্গেও দূরত্ব বাড়তে থাকে তৃণমূলের। বর্তমানে তৃণমূলের সভায় কেন সাংসদ দিব্যেন্দুকে দেখা যায় না সেই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তৃণমূল সাংসদের আক্ষেপ, “আমাকে সামনে বসিয়ে রেখে আমার পরিবার তুলে গালাগালি করা হয়। সেই সভায় কি আমার যাওয়া উচিত”। তবে দিব্যেন্দুর স্বগোতোক্তি, “আমি মানুষের জন্য কাজ করব, সীমিত ক্ষমতায় মধ্যে দাঁড়িয়েই সাংসদের মেয়াদ থাকা পর্যন্ত কাজ করে যাব” জানিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে কাঁথির সাংসদ শিশির অধিকারীও এদিন দিল্লীর সংসদ ভবনে গিয়ে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দান করেছেন। অনেকদিন বাদে জনপ্রতিনিধি হিসেবে দিল্লীতে হাজির থেকে দেশের সর্ববৃহৎ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার অনুভুতি কেমন জানতে চাওয়া হলে শিশিরের প্রতিক্রিয়া, “আমি ২০০৯ সাল থেকে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট দিয়ে আসছি। তাই এটা আমার কাছে নতুন কোনও বিষয় নয়”। তবে নির্বাচনে কে কার পাল্লা ভারী বা তিনি কাকে ভোট দিয়েছেন এই প্রশ্নের উত্তরে শিশিরের জবাব, “এই বিষয়ে আর কোনও মন্তব্য করব না”। তবে দ্রৌপদী মুর্মু যে রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসেবে অত্যন্ত যোগ্য সেই বিষয়টিও উল্লেখ করেছেন তিনি।