পটাশপুর, পূর্ব মেদিনীপুর : বাড়িতে বড্ড অভাব, করোনার বাড়বাড়ন্তের জেরে রুজিতেও টান পড়েছে। এমন সময় একটা ভালো রোজগেরে পাত্রের সন্ধান পেয়েই বছর ১৪’র নাবালিকাকে অনাড়ম্বর ভাবে মন্দিরে নিয়ে গিয়ে লুকিয়ে বিয়ে দিতে চেয়েছিল বাবা ও মা। তবে শেষ মুহূর্তে খবর পেয়ে চারহাত এক হওয়ার আগেই সেই বিয়ে রুখে দিল স্থানীয় প্রশাসন।
চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর ২নং ব্লকের বাল্যগোবিন্দপুর গ্রামে। তবে মেয়ের বাবা ও মা অকপটে স্বীকার করে নিয়েছেন, তাঁদের পরিবারের বড়ই অভাব। মেয়ে পড়তে চাইলেও তাঁকে পড়ানোর সামর্থ্য নেই। অগত্যা মেয়েকে পাত্রস্থ করে দেওয়াই শেষ উপায় বলে মনে হয়েছে নাবালিকার পরিবারের।
বিয়ে রুখতে এদিন ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়েছিলেন পটাশ্লপুর ২নং ব্লকের সহকারী সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারীক সুমন সাহা ও শিক্ষা আধিকারীক সুদীপ্ত মহাপাত্র সহ পটাশপুর থানার পুলিশ। মেয়েটির বাবা ও মায়ের কাছ থেকে লিখিত মুচলেকা নেওয়া হয়েছে, মেয়ের ১৮ বছর না হওয়া পর্যন্ত বিয়ে দেওয়া হবে না।
ঘটনার খবর পেয়ে নবম শ্রেণীর ছাত্রীটির পড়াশোনার দায়িত্ব নিতে এগিয়ে এসেছেন ব্লকের সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারীক শঙ্কু বিশ্বাস। আগামীদিনে মেয়েটির পড়াশোনার যাবতীয় দায়িত্ব তিনিই তুলে নিয়েছেন নিজের কাঁধে। মেয়েটি যতদিন পর্যন্ত না স্কুলের পড়াশোনা শেষ করছে ততদিন তিনি পড়াশোনার সমস্ত দায়িত্ব নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।