কাঁথি, পূর্ব মেদিনীপুর : কোনও আগাম বার্তা না দিয়েই কাঁথির শান্তিকুঞ্জের ওপর দিয়ে দ্রোণ ক্যামেরা উড়িয়ে নজরদারী চালানোর অভিযোগ তুললেন তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারী। তাঁর দাবী, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমার নেত্রী। আমার বাড়িতে বৃদ্ধ বাবা, মা ও ছোট্ট মেয়ে রয়েছে। বাড়ির ওপর নজরদারী চালিয়ে একটা অদ্ভুত পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা চলছে। এর বিরুদ্ধে আমি দলের কাছে অভিযোগ জানাব। গোটা ঘটনা জানিয়ে লোকসভার সাংসদকেও অভিযোগ জানাব” দজানিয়েছেন দিব্যেন্দু।
দিব্যেন্দুর দাবী, “আজ সকালে মেয়ে বাড়ির ভেতর পড়ছিল। আমি বারান্দায় ঘুরছিলাম। সেই সময় হঠাৎই নজরে আসে একটি দ্রোণ ক্যামেরা উড়ছে আমাদের বাড়ির পাঁচিলের ভেতরে। সঙ্গে সঙ্গেই আমি মোবাইলে ভিডিও রেকর্ড করেছি”। দিব্যেন্দু জানান, “আমি বাইরে গিয়ে দেখলাম পাশের কলেজের ভেতর থেকে সাদা পোশাকে দ্রোণ ওড়ানো হচ্ছিল। সাধারণ পোষাকে জনাকয়েক ঘোরাফেরা করছিল। কারও গলায় পরিচয়পত্র ছিল না”।
এরপরেই দিব্যেন্দু কলেজের প্রিন্সিপালকে ফোন করেন বলে জানিয়েছেন। দিব্যেন্দুর উক্তি, “কলেজের প্রিন্সিপালকে ফোন করে জানতে পারি ওখানে পুলিশের লোকেরা দ্রোণ ক্যামেরা ওড়াচ্ছিল। কিন্তু এভাবে কেন নজরদারী তা নিয়ে পুলিশের কাছে কোনও সদুত্তর পাইনী” দাবী করেছেন সাংসদ। দিব্যেন্দু জানান, “পুলিশকে ফোন করে অভিযোগ জানাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু ওরা আমার ফোন ধরেন না। তবে এই নিয়ে আদালতে যাবেন না বলেই জানিয়েছেন দিব্যেন্দু।
তবে দাদা শুভেন্দুর প্রসঙ্গ তুলে দিব্যেন্দু জানান, “আমার দাদা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি পরিবারের কথা ভেবে আগেও আদালতে গিয়েছিলেন, আবার চাইলে যেতে পারেন। সবার স্বাধীনতা আছে”। তবে তিনিও এই বিষয়টি মেনে নেবেন না বলেই জানিয়েছেন দিব্যেন্দু। তিনি জানান, “আমি দলের কাছে অভিযোগ জানাবো। লোকসভার স্পিকারকেও আমি অভিযোগ জানাব। এভাবে আমার পরিবারের ওপর ক্রমাগত অবমাননা মেনে নেওয়া যাবে না”।