চন্দন বারিক, দিঘা : এ যেন সমূদ্রের রত্ন। যা রাতারাতি ঘুরিয়ে দিল এক মৎস্যজীবির ভাগ্যের চাকা। শনিবার দিঘার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে একঝাঁক তেলিয়া ভোলা বিক্রী করে কোটিপতি হয়ে গেলেন এক মৎস্য ব্যবসায়ী। এদিন প্রমাণ সাইজের ১২১টি তেলিয়া ভোলা নিয়ে দিঘা মোহনার মৎস্য নিলাম কেন্দ্রে হাজির হয় মা বিশ্বেশ্বরী নামের ট্রলারটি। এই মুহূর্তে মাছগুলি নিলামে তোলা হচ্ছে বলেই মৎস্যজীবিদের সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয় এক মৎস্যজীবি জানিয়েছেন, “এদিন যে তেলিয়াভোলাগুলি বাজারে এসেছে সেগুলি প্রতিটি ১৭ থেকে ১৮কেজি ওজনের। এই মাছের পোঁটা ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহৃত হয় বলেই তেলিয়া ভোলার কদর অন্যমাছের তুলনায় অনেকটা বেশী। এই মাছের ওজন যত বেশী হবে কেজিপ্রতি দামও ততটাই বেশী। এর আগে এমন মাছ ১২ থেকে ১৩ হাজার টাকা কেজিপ্রতি বিকিয়েছে” বলেও ওই মৎস্যজীবি জানিয়েছেন। তবে এই মাছগুলি আকারে কিছুটা ছোট হওয়ায় এঁদের দাম কিছুটা কম হবে।
তবে মৎস্যজীবিরা প্রাথমিক ভাবে জানিয়েছেন, এদিনের মাছ থেকে কোটিপতি হয়ে যাবেন ট্রলার মালিক। মৎস্যজীবিদের সূত্রে খবর, এমনিতেই বর্ষার মরশুমে ইলিশের আকাল এবং অত্যধিক মাছ শিকারের ফলে সমূদ্রে মাছের আমদানী খুবই কম। তার মাঝে কখনও সখনও এই তেলিয়া ভোলাই ফিরিয়ে দেয় মৎস্যজীবিদের ভাগ্য। তবে মাঝ গভীর সমূদ্রে দলবদ্ধ ভাবে ঘোরাফেরা করে। তাই ভাগ্যদেবী প্রসন্ন না হলে এধরণের মাছের দেখা সাধারণত মেলে না।