চন্দন বারিক, দিঘা : সামূদ্রিক প্রাণীর গবেষণায় নতুন এক দিগন্তের উন্মোচন হল দিঘায়। এখন থেকে যে কোনও প্রাণীর প্রজাতি চিহ্নিত করতে আর ভিন রাজ্যের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে না। কারণ, এখন থেকে দিঘার মেরিন অ্যাকোয়ারিয়ামেই করা যাবে প্রাণীর DNA পরীক্ষা। বৃহস্পতিবার মেরিন অ্যাকোয়ারিয়ামে এই নতুন পরীক্ষাগারের উদ্বোধন করেন জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার ডাইরেক্টর ডঃ ধৃতি ব্যানার্জী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দিঘা মেরিন অ্যাকোয়ারিয়ামের ইনচার্জ ডঃ এস বালাকৃষ্ণাণ, দিঘা বিজ্ঞান কেন্দ্রের ইনচার্জ নিরঞ্জন গুপ্তা, ডঃ টুডু প্রসাদ সহ জিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়ার প্রতিনিধিরা।
দিঘায় এই মূল্যবান গবেষণাগারটির উদ্বোধনের পর রীতিমতো উচ্ছ্বসিত ডঃ ধৃতি ব্যানার্জী। তিনি জানান, “কোনও নতুন প্রাণী আবিষ্কার হলে সেটি কোন প্রজাতির বা এমন কোনও প্রজাতির প্রাণী আগে কখনও খুঁজে পাওয়া গিয়েছিল কিনা তা সহজেই বোঝা যাবে”। তাঁর মতে, “যে কোনও গবেষণা ও জীববিদ্যার রহস্য উন্মোচনের ক্ষেত্রে DNA টেস্ট একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। এতদিন যা হাতের নাগালের মধ্যে ছিল না। তবে এবার প্রাণীবিদ্যার গবেষণায় দিঘার মেরিন অ্যাকোয়ারিয়ামের এই DNA গবেষণাগার বহু রহস্যের উন্মোচন করবে”।
ডঃ ধৃতি ব্যানার্জী জানান, “দিঘায় অবস্থিত মেরিন অ্যাকোয়ারিমাটি এমনিতেই রাজ্যের মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় জায়গা। পর্যটক থেকে শুরু করে গবেষক ও ছাত্রছাত্রীদের কাছে এই অ্যাকোয়ারিমা বেশ আকর্ষণীয়”। সূত্রের খবর, এই অ্যাকোয়ারিয়ামে প্রায় পাঁচ শতাধিক সামূদ্রিক প্রাণী সংরক্ষণ করে রাখা আছে। এছাড়াও এই অ্যাকোয়ারিয়ামের বাইরেই রয়েছে সুদৃশ্য সামূদ্রিক তিমির কঙ্কাল। যা পর্যটকদের কাছে বিশেষ পছন্দেরও।
তবে করোনা আবহে বর্তমানে দিঘার অ্যাকোয়ারিয়ামটি সাধারণের জন্য বন্ধ রয়েছে। এটি কবে সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে জানতে চাওয়া হলে ডঃ ধৃতি জানান, “করোনা আবহে রাজ্যে বিধিনিষেধ আরোপ রয়েছে। সেই বিধিনিষেধ উঠে গেলে এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই অ্যাকোয়ারিয়ামের দরজাটি পুনরায় সবার জন্য খুলে দেওয়া হবে”।