নিউজবাংলা ডেস্ক : নৈহাটির এক যুবক একটি ফাইনান্স সংস্থার মাধ্যমে গাড়ির কেনার জন্য শোরুমের হাতে তুলে দিয়েছিলেন ৪৫ হাজার টাকার চেক। কিন্তু সেই চেক বাউন্স হয়ে যাওয়ার জেরে শুরু হয় ব্যাপক অশান্তি। বারাসতের ছোট জাগুলিয়া বাসিন্দা সাদ্দাম হোসেনকে ডেকে আনে গাড়ি শোরুম কর্তৃপক্ষ। এরপরেই চলে বেধড়ক মারধর। ওই যুবক ফোন করে তাঁর বন্ধুদের দ্রুত টাকা নিয়ে শোরুমে আসার অনুরোধ জানায়। খবর পেয়ে ছেলেটির পরিবার ও বন্ধুরা গাড়ি শোরুমে এলে তাঁদের জানানো হয় গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে সাদ্দাম।
বুধবার এই মর্মান্তিক ঘটনার পর নৈহাটির গাড়ি শোরুমের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ এনেছে মৃতের পরিবার। তাঁদের দাবী, সাদ্দাম তাঁর বন্ধুদের ফোন করে জানিয়েছিল, তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে। টাকা না পেলে তাঁকে খুন করা হতে পারে। এরপরেই তাঁর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয় শোরুমের ভেতর থেকে। খবর পেয়ে নৈহাটি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সাদ্দাম হোসেন এক নামী কোম্পানির গাড়ি কিনেছিলেন নৈহাটির একটি শোরুম থেকে। তা প্রায় দিন কুড়ি আগে। একটি ফাইনান্স সংস্থার মাধ্যমে তিনি গাড়িটি কেনেন। লোনের কিস্তি বাবদ সাদ্দাম ৪৫ হাজার টাকার একটি চেক দিয়েছিলেন সাদ্দাম। কোম্পানিকে দেওয়া সেই চেকটি বাউন্স হয়ে যায় বলে দাবি শোরুম কর্তৃপক্ষের। এরপর সাদ্দামকে ডেকে পাঠায় নৈহাটির শোরুম কর্তৃপক্ষ।
বুধবার বিকেলে নৈহাটির শোরুমে যান সাদ্দাম হোসেন। তখন তাঁর সঙ্গে চেক বাউন্স (Bounce) নিয়ে কর্তৃপক্ষের কথা কাটাকাটি হয়। অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ সাদ্দামের উপর ওই টাকা তৎক্ষণাৎ দেওয়ার জন্য চাপ তৈরি করে। এরপর তাঁকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে সাদ্দাম ফোন করে বন্ধুদের জানান। বন্ধুদের দাবি, সাদ্দাম এও বলেন যে বন্ধুরা তাড়াতাড়ি যেন টাকা নিয়ে শোরুমে গিয়ে জমা দেয়, নাহলে তাঁর প্রাণহানি হতে পারে।
মোবাইলে নিউজ আপডেটপেতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দিন, ক্লিক করুন Whatsapp