কোলাঘাট : বেশ কয়েকমাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না কাঁথি পুরসভার অস্থায়ী কর্মীরা। এই নিয়েই বিক্ষোভ প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে উঠল পুরসভা চত্বর। প্রাক্তন পুর প্রধান সৌমেন্দু অধিকারীর দাবী, তাঁর কার্যকালে কোনওদিনই এমন পরিস্থিতি হয়নি। সেই সঙ্গে কুর্সি’র উত্তাপ ও দায়িত্ব কতটা তা অনুধাবন করার জন্যও বর্তমান পুরপ্রধানকে নিজের সোশ্যাল মিডিয়ার পেজে বার্তা দিয়েছেন সৌমেন্দু। এদিকে সৌমেন্দু’র সুরেই পুরপ্রধানকে অযোগ্য বলে দাবী করেছেন পুরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কাউন্সিলর ইনচার্চ রীনা দাস।
রীনা সংবাদমাধ্যমে বলেন “আমি আগেও বলেছি, এখনোও বলছি এদের আন্দোলন যথাযথ। অস্থায়ী কর্মীরা যে কথা বলছেন তা সঠিক। কাঁথি পুরসভার পুরপ্রধান ( সুবল কুমার মান্না) একেবারে অযোগ্য। আমাদের নেত্রীকে বিষয়টি জানিয়েছি। এই মাসে বেতন দেওয়ার কথা ছিল। বোর্ড মিটিং করলাম। এদের যদি বেতন না দেওয়া হয়, আমরাই আন্দোলনে নামবো”।
প্রসঙ্গতঃ কাঁথি পুরসভা অস্থায়ী সাফাই কর্মীদের দীর্ঘ তিনমাস কাজ করার পরও বেতন পাচ্ছেন না বলে দাবী। মঙ্গলবার বিকেলে কাঁথি পুরসভার সভাকক্ষে কাউন্সিলর ও পুরবোর্ডের মিটিং চলছিল। সেই সময়ই শতাধিক অস্থায়ী কর্মীরা পুরসভা চত্বরে হাজির হয়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। বকেয়া বেতনের দাবীতে পুরসভার সিঁড়ি, দোতলার হল সহ সভাকক্ষের বাইরেই শুয়ে পড়ে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।
সেই সময় সভাকক্ষে ছিলেন পুরপ্রধান সুবল মান্না সহ শাসক ও বিরোধী সব পক্ষের কাউন্সিলার। তবে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার পর থেকে পুরপ্রধান মুখে কুলুপ দিয়েছেন। কর্মীদের বেতনের সমস্যা কবে মিটবে সেই প্রসঙ্গে তাঁর কাছে কোনও উত্তর পাওয়া যায়নি। তবে বর্তমান পুরবোর্ডের প্রতি কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছেন দক্ষিণ কাঁথির বিজেপি প্রতীকে জেতা বিধায়ক তথা কাঁথি পুরসভার ১০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর অরূপ কুমার দাস।
অরূপ জানান, “এরা দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করছে বেতনের জন্য। কিন্তু কিছুতেই তাঁদের সমস্যা মিটছে না। বেতন পাওয়ার ক্ষেত্রেই নানা রকমের সমস্যা হচ্ছে। রাজ্য সরকার দেউলিয়া তাই কর্মচারীদের পুরোপুরি ডিএ দেয় না। আর কাঁথি পুরসভাও সেই একই অবস্থা হয়েছে”।