খেজুরি, পূর্ব মেদিনীপুর : পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি ২ ব্লকের নিচকসবা এলাকায়। অভিযোগ, বিজেপি এই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করতেই তাঁদের ওপর লাঠি রড বন্দুক নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে তৃণমূলের লোকজন (Tmc-Bjp Clash)। দুষ্কৃতীদের ছোঁড়া গুলিতে বিজেপি নির্বাচিত প্রধান মৌসুমি মন্ডলের স্বামী শুকদেব মন্ডল সহ বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মী জখম হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে মার খেয়েছেন তালপাটি কোস্টাল থানার থানার ওসি সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও।
প্রসঙ্গতঃ নিচকসবা পঞ্চায়েতের মোট ২৮টি আসনের মধ্যে ১৬টিতে বিজেপি ও ১২টি আসন গিয়েছে তৃণমূলের দখলে। স্বাভাবিক ভাবেই পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। প্রধান নির্বাচিত হন মৌসুমি মন্ডল। বোর্ড গঠনের কিছু পরেই তৃণমূল ও বিজেপি সমর্থকদের মধ্যে আচমকাই সংঘর্ষ বেঁধে যায়। বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের লোকেরা গায়ের জোরে বোর্ড গড়তে চেয়েছিল। কিন্তু সুবিধে করতে না পেরেই গুলি চালিয়ে দেয় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা।
পাল্টা তৃণমূলের দাবী, তাঁদের দলের জয়ী সদস্যদের পঞ্চায়েতে ঢুকতে না দিয়ে একতরফা ভাবে বোর্ড গঠন করে বিজেপি। এই নিয়ে তৃণমূল কর্মীরা প্রতিবাদ করতেই তাঁদের ওপর হামলা চালানো হয়। ঘটনার খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে যান তালপাটি কোস্টাল থানার ওসি বুদ্ধদেব মাল। হামলার ঘটনায় ওসি সহ বেশ কয়েকজন পুলিশকর্মীও জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে খেজুরির বিজেপি বিধায়ক শান্তনু প্রামানিকের অভিযোগ, এদিন বিজেপি বোর্ড গঠন করতেই তৃণমূলের হার্মাদরা সশস্ত্র অবস্থায় ঝাঁপিয়ে পড়ে। তাঁদের হামলায় ইতিমধ্যে একাধিক বিজেপি কট্মী জখম হয়েছেন”। তৃণমূল নেতাদের তিনি হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, “যারা এই হামলায় যুক্ত হয় তাঁদের পুলিশ গ্রেফতার করুন। নাহলে এদের কারও বাড়ির আস্ত থাকবে না। এরা কেউ বাড়ি ফিরতে পারবে না”।
খেজুরির তৃণমূল নেতা শ্যামল মিশ্রের পাল্টা দাবী, তৃণমূলের ১২ জন জয়ী হয়েছে। কিন্তু বোর্ড গঠনের সময় তাঁদের ভেতরে যেতে বাধা দেওয়া হয়েছে”। সেই সঙ্গে তাঁর দাবী, “এই ঝামেলার সঙ্গে তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। বিজেপির কে প্রধান হবে তা নিয়েই নিজিদের মধ্যে বিবাদ চরমে। নব্য ও পুরানো নেতাদের ঝামেলার জেরেই এই গুলি চালনার ঘটনা হয়েছে৷ এর সঙ্গে তৃণমূলকে জুড়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে”।