পটাশপুর, পূর্ব মেদিনীপুর : সম্পত্তি হাতাতে নিজের মা’কেই শ্বাসরোধ করে খুন করার অভিযোগ উঠল গুণধর মেয়ের বিরুদ্ধে। প্রথমে ঘটনাটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালানোর চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত পুলিশের জেরায় নিজের অপরাধ কবুল করেছে ঘাতক মেয়েটি। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুর থানার বামুনদা গ্রামে। মৃত হতভাগ্য মহিলার নাম রাধারানী জানা (৫৭)। এই ঘটনায় পুলিশ মৃতার ছোট মেয়ে শ্যামলী জানা (২৭)কে গ্রেফতার করেছে। রবিবার ধৃতকে কাঁথি মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হলে বিচারক ধৃতকে ৫ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
পটাশপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, শনিবার বিকেল নাগাদ নিজের বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানোর পাশপাশি এই ঘটনায় মৃতার বড় মেয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে ছোট মেয়ে শ্যামলীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক ভাবে রাধারানীকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পটাশপুর থানার ওসি দীপক চক্রবর্তী জানান, অভিযুক্তকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কিনা তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
পটাশপুর থানা সূত্রে জানা গেছে, বামনপুরের বাসিন্দা স্বামীহারা রাধারানী জানা’র দুই মেয়ে ও এক ছেলে। বড় মেয়ে কাকলী’র বিয়ে হয়েছে বেশ কয়েক বছর হল। তবে ছোট মেয়ে শ্যামলী বিয়ের পর স্বামীর সঙ্গে অশান্তি করে বাপের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। ইতিমধ্যে বছর খানেক আগে একমাত্র ছেলের অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। এরপর থেকেই মায়ের সম্পত্তি তাঁর নামে লিখে দেওয়ার জন্য প্রায়শই চাপ দিত শ্যামলী। একাধিকবার মেয়ের হাতে মার খেয়ে বাড়ি ছেড়ে গাছতলায় আশ্রয় নিতে দেখা যেত রাধারাণীকে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, শনিবার বেলা ১২টা নাগাদ মহিলাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। এরপর ঘটনাটিকে স্বাভাবিক মৃত্যু বোঝাতে দেহটিকে গোয়াল ঘরে ফেলে রাখা হয়। বিকেল ৪টে নাগাদ শ্যামলী প্রতিবেশীদের জানায় গোয়াল ঘরে পড়ে গিয়ে তাঁর মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তাই সবাই যেন সৎকারে সহযোগিতা করে। কিন্তু মৃতের গলায় অস্বাভাবিক দাগ দেখেই সবার সন্দেহ হয়। তাঁরাই মৃতার বড় মেয়ে কাকলী জানা পালকে ডেকে পাঠায়। এরপরেই তাঁরা পুলিশে খবর দেয়।
মোবাইলে নিউজ আপডেটপেতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দিন, ক্লিক করুন Whatsapp