নিউজবাংলা ডেস্ক : কাঁথি পুরসভার গ্রিন সিটি দুর্নীতি মামলার তদন্তে একটানা প্রায় ১০ ঘন্টা ১০ মিনিটের জেরার মুখে পড়লেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান সৌমেন্দু অধিকারী। শুক্রবার সকাল ১০টা নাগাদ তিনি কাঁথি থানায় মামলার তদন্তকারী অফিসারের কাছে হাজিরা দেন। তারপর গোটা দিন পেরিয়ে রাত্রি ৮টা ১০ মিনিট নাগাদ তাঁকে ছাড়া হয়েছে। তবে থানা থেকে বেরিয়েই তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলাগুলির নিয়ে তোপ দাগেন বিজেপি নেতা সৌমেন্দু।
সৌমেন্দু’র দাবী, “সমস্ত কেসগুলো হয়েছে ২০২১ এর জানুয়ারির পর থেকে”। অর্থাৎ যে সময় থেকে শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন তারপর থেকেই তাঁর ছোট ভাই সৌমেন্দু’র বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছেন তিনি। যদিও এই মামলাগুলির পেছনে কোনও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে কিনা জানতে চাওয়া হলে সৌমেন্দু’র উত্তর, “বাকিটা জনতা জনার্দন বুঝে নেবেন”।
তবে এই দীর্ঘ সময়ের জেরাতেও যে তাঁকে দমানো যাবে না তা একপ্রকার স্পষ্ট করে দিয়েছেন সৌমেন্দু। তিনি জানান, “আজ পুলিশ আমাকে ডেকেছেন, বসিয়ে রেখেছেন। এরকম আরও যদি কয়েক ঘন্টা বসিয়ে রাখত আমার কোনও সমস্যা ছিল না”। যদিও জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, কাঁথি পুরসভা এলাকায় গ্রিন মিশনের মাধ্যমে পথবাতি লাগানোর ঘটনায় দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই মামলায় ইতিমধ্যে ২ জন গ্রেফতারও হয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছেন কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন ইঞ্জিনিয়ার দিলীপ চহ্বান এবং কনকপুরের বাসিন্দা ভরত প্রধান।
কি ঘটেছে দিনভর দেখে নিন নিউজবাংলা ভিডিও :
তবে পুলিশি জেরায় হাজির হওয়ার আগেই উচ্চ আদালত থেকে রক্ষা কবচ পেয়ে গিয়েছিলেন সৌমেন্দু অধিকারী। তাঁকে গ্রেফতার করা যাবে না নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি পুলিশি তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করার কোথাও বলা হয়েছে। সেই নির্দেশ ক্রমেই আজ কাঁথি থানায় হাজিরা দেন সৌমেন্দু। সৌমেন্দুর আইনজীবি অনির্বান চক্রবর্তী জানান, “সৌমেন্দু অধিকারীকে ১৬০ সিআরপিসি তে নোটিশ করা হয়েছিল। ৪৬/২২ কেস-এর আইও সৌমেন মন্ডল তাঁকে হাজির হতে বলেছিলেন। তবে ১০টায় ডাকা হলেও তার আগেই সৌমেন্দু থানায় হাজিরা দেন”।
তিনি জানান, “কাঁথি পুরসভার পথবাতি মামলায় আমার মক্কেলকে ডাকা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে প্রচুর মিথ্যা মামলা হয়েছে। এটাও একটা মিথ্যা মামলা। মহামান্য হাইকোর্ট-এর নির্দেশিকা মেনেই তিনি আজ থানায় হাজির হয়েছিলেন। তবে ২ ঘন্টার বেশী তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না বলা হলেও এতটা সময় ধরে কেন আটকে রাখা হল বুঝতে পারছি না”।