নিউজবাংলা ডেস্ক, পূর্ব মেদিনীপুর : মেয়ে শিউলি সাহা প্রথমবার রাজ্যের পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী হিসেবে শপথ নিয়েছে মাত্র দু’দিন আগে। আর তাঁরই মা নন্দীগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান বনশ্রী খাঁড়া’র বিরুদ্ধেই কিনা অনাস্থা আনল পঞ্চায়েতের সদস্যরা।
বুধবার বনশ্রী খাঁড়া’র বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে স্থানীয় বিডিও’র কাছে আবেদন করেছেন পঞ্চায়েতের ১১ জন সদস্য। বনশ্রী’র বিরুদ্ধে ঘোরতর অভিযোগ তুলে তৃণমূল দাবী করেছে, নির্বাচনী পর্যালোচনায় দেখা গেছে উনি ভোটের সময় দল বিরোধী কাজ করেছেন। দলনেত্রী মমতার পরিবর্তে বিরোধী শিবিরকেই সহযোগিতার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
যদিও এদিনই সকাল ১১টা নাগাদ আগেভাগেই বিডিও অফিসে গিয়ে নিজের ইস্তফাপত্র দিয়ে এসেছেন বনশ্রী। শারীরিক অসুস্থতার কথা জানিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানের পদ থেকে অব্যাহতি চেয়েছেন তিনি। এরপর বেলা দেড়টা নাগাদ পঞ্চায়েতের অধিকাংশ সদস্য অনাস্থার দাবীতে বিডিওকে চিঠি দিয়েছেন।
নন্দীগ্রাম ১নং ব্লকের তৃণমূল সভাপতি স্বদেশ দাস জানিয়েছেন, সদ্য শেষ হওয়া নির্বাচনে দল বিরোধী কাজ করেছেন বনশ্রী খাঁড়া। তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে গিয়ে বিরোধী পক্ষকে সুবিধে পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। সবদিক খতিয়ে দেখার পরেই স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্যরা বনশ্রীর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব এনেছেন।
অন্যদিকে বনশ্রী খাঁড়া জানিয়েছেন, তিনি নিজেও আর পঞ্চায়েতের দায়িত্ব সামলাতে চান না। তাঁর শারীরিক অবস্থা ভালো নয় বলে আজই সকাল ১১টা নাগাদ ব্লক অফিসে নিজের পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন তিনি। অন্যদিকে বেলা দেড়টা নাগাদ অনাস্থা জমা দিয়েছেন ১১ জন সদস্য। এই পঞ্চায়েতে মোট ১৩ জন সদস্য রয়েছে। বনশ্রীকে বাদ দিয়ে অপরজন হল তাঁরই ছেলে সুদীপ খাঁড়া। আগের টার্মে সুদীপ এই পঞ্চায়েতের প্রধান ছিল।
তৃণমূলের ব্লক সভাপতি আরও জানিয়েছেন, দল বিরোধী কাজের অভিযোগে আরও দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তাঁরা হলেন, নন্দীগ্রাম ১নং ব্লকের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ গোকুল নগরের বাসিন্দা স্বদেশ দাস অধিকারী এবং কেন্দেমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপ প্রধান সানোয়ার শাহ।
মোবাইলে আরও নিউজ আপডেট পেতে এইখানে ক্লিক করুন – Whatsapp