নিউজবাংলা ডেস্ক : ১৫ দিনে ১৩ বার, গত কয়েকদিন ধরে এভাবেই বেড়ে চলেছে পেট্রল ও ডিজেলের দাম। ৫ এপ্রিল আরও ৮৩ পয়সা বেড়ে কলকাতায় পেট্রোলের দাম ছুঁয়েছে ১১৪.১৮টাকা আর ডিজেলের দাম ৮০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৯৯.০২টাকা। ইতিমধ্যে এই মূল্যবৃদ্ধির আঁচ এসে লেগেছে নিত্যপন্যের বাজারেও। নিত্য ব্যবহার্য ভোজ্য তেল থেকে চাল, ডাল, মশলা সব কিছুর দাম বেড়েছে পাল্লা দিয়ে। কিন্তু পেট্রোলিয়াম পন্য সহ এই লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির শেষ কোথায় হবে সে বিষয়ে কোনও ইঙ্গিত মিলছে না কেন্দ্রের তরফে।
ইতিমধ্যে এই মূল্যবৃদ্ধির আঁচ আছড়ে পড়েছে সংসদে। সংসদের দুই কক্ষেই সোমবার দফায় দফায় বিক্ষোভে ফেটে পড়েন বিরোধীরা। রাহুল গান্ধী সোশ্যাল মিডিয়ায় রীতিমতো পরিসংখ্যান তুলে ধরে দেখিয়েছেন, ২০১৪ সালে যখন বিশ্ববাজারে অপরিশোধিত তেলের দাম ১০৮.০৫ ডলার ছুঁয়েছিল তখনও এই দেশের নাগরিকদের এমন মূল্যবৃদ্ধির মুখে দাঁড়াতে হয়নি। অথচ এখন সেই তেল ব্যারেল পিছু ৯৯.৪২ ডলার। অথচ নিত্য বেড়ে চলেছে পেট্রোল ডিজেলের দাম।
লাগাতার মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে দেশের অর্থনীতির পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রকে সরাসরি তোপ দেগেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পড়শি দেশ শ্রীলঙ্কার উদাহরণ টেনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবী, এই দেশের অর্থনীতি শ্রীলঙ্কার থেকেও খারাপ। মুখ্যমন্ত্রীর দাবী, “আমি ভারতের সঙ্গে কোনও দেশের তুলনা না টেনেও বলতে চাই ভারতের অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপ। কিন্তু এর থেকে বেরিয়ে আসার জন্য কেন্দ্রের কোনও পরিকল্পনাই নেই”। মমতার পরামর্শ, “দেশের এই সংকটের সময়ে বর্তমান পরিস্থিতির সমাধান খুঁজতে প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলকে ডেকে কথা বলা উচিত কেন্দ্রের”।
এদিকে আবার বাংলা সহ একাধিক অবিজেপি শাসিত রাজ্যে জনমোহিনী প্রকল্পে দেদার নগদ অর্থব্যয় এই রাজ্যগুলির কোষাগারে বিপুল চাপ ফেলবে বলে আশংকা প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রের সচিবদের একাংশ। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে সেই প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে বলে দাবী করেছে আনন্দবাজার পত্রিকা। তাদের প্রতিবেদনে দাবী, ভোটের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে গিয়ে বাংলা, পাঞ্জাব, দিল্লী, তেলেঙ্গানা, অন্ধ্রপ্রদেশের মতো রাজ্যের কোষাগারে বিপুল চাপ পড়ছে।
Pradhan Mantri Jan Dhan LOOT Yojana pic.twitter.com/OQPiV4wXTq
— Rahul Gandhi (@RahulGandhi) April 4, 2022
পাল্টা বাংলার তরফে দাবী, বিজেপি শাসিত উত্তরপ্রদেশ, গোয়া’র মতো রাজ্যে বিনামূল্যের গ্যাস সহ নানান প্রকল্প পূরণে বিপুল টাকা ব্যয় হচ্ছে তার দায় কে নেবে। সমাজবাদী পার্টির সাংসদ রামগোপাল যাদব কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে জানিয়েছেন, “কেন্দ্রের হাতে কর্মীদের বেতন দেওয়ার টাকা নেই। খাদ্য নিগমের ভর্তুকি বাবদ ৪.২৭ লক্ষ কোটি টাকা দু’বছর ধরে বকেয়া রয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকারেরই দেউলিয়া অবস্থা” বলে দাবী জানিয়েছেন তিনি।