Saturday, April 20, 2024
HomeKolkataএকাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করল সিবিআই, নাম কমিটির পাঁচ সদস্যের, তুলে ধরা...

একাধিক ধারায় এফআইআর দায়ের করল সিবিআই, নাম কমিটির পাঁচ সদস্যের, তুলে ধরা হয়েছে কার কি অপরাধ !

spot_imgspot_img
spot_imgspot_img

 


নিউজবাংলা ডেস্ক : স্কুল সার্ভিস কমিশনের (এসএসসি) গ্রুপ সি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় নতুন করে এফআইআর। উপদেষ্টা কমিটির আহ্বায়ক শান্তিপ্রসাদ সিনহা সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করল সিবিআই। কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশেই এই উদ্যোগ। এছাড়াও একআইআরে নামের তালিকায় ছ’নম্বরে এসএসসি ও মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ‘অজ্ঞাতপরিচয়’ কর্মচারী এবং সাত নম্বরে অন্য অজ্ঞাতপরিচয়দের উল্লেখ রাখা হয়েছে।

ওয়াকিবহাল মহলের বক্তব্য, নিয়োগ দুর্নীতির তদন্ত চলাকালীন ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে আর যাদের নাম উঠে আসবে, এফআইআরে তাদের নাম অন্তর্ভুক্ত করার আগাম ব্যবস্থা রেখেছে সিবিআই। ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র), ৪১৭ (প্রতারণার জন্য শাস্তি), ৪৬৫ (জালিয়াতি করার শাস্তি), ৪৬৮ (প্রতারণার জন্য জালিয়াতি), ৩৪ (একই উদ্দেশ্য নিয়ে প্রিভেনশন অব কোরাপশন অ্যাক্ট, ১৯৮৮’র ৭ ধারা অনুযায়ী শান্তিপ্ৰসাদ সহ অন্যদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

এর মধ্যে ৪৬৮ নম্বর ধারা জামিন অযোগ্য (সংঘঠিত অপরাধ) ধারা এবং তারও উল্লেখ রয়েছে এফআইআরে। পাশাপাশি এই কমিটি গঠনে স্কুল সার্ভিস কমিশন অ্যাক্ট, ১৯৯৭ লঙ্ঘন করার কথাও স্পষ্ট জানানো হয়েছে। সিবিআই সূত্রে খবর, শান্তিপ্ৰসাদ ছাড়াও এফআইআরে নাম রয়েছে এসএসসির তৎকালীন প্রোগ্রামার সমরজিৎ আচার্য, তৎকালীন এসএসসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক সৌমিত্র সরকার, সচিব অশোক সাহা এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের।

নিয়োগ দুর্নীতি মামলার কার বিরুদ্ধে কী অভিযোগ, তারও ব্যাখ্যা দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। সিবিআইয়ের দাবি, নিয়োগ দুর্নীতির এই চক্রের ‘প্রধান’ হলেন শান্তিপ্রসাদ সিনহা। কার্যত স্কুল শিক্ষা দপ্তরকে অন্ধকারে রেখেই তিনি প্যানেলের সময়সীমা শেষের পর অকৃতকার্য প্রার্থীদের জন্য সুপারিশ করেছিলেন। এসএসসি’র নিয়োগ সংক্রান্ত এই উপদেষ্টা কমিটি যে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অনুমোদনেই গঠিত।

তদন্তকারীদের অভিযোগ, গ্রুপ সি প্যানেলের সময়সীমা অতিক্রান্ত হওয়ার পর ঠিক কতগুলি শূন্যপদ রয়েছে, তার খোঁজ নেন অধ্যাপক সৌমিত্র সরকার এবং শান্তিপ্রসাদ সিনহা। এরপর সেই সমস্ত পদ পূরণের জন্য ভুয়ো সুপারিশপত্র তৈরি করান। এভাবেই অকৃতকার্য ৩৮১ প্রার্থীকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।

সময় অতিক্রান্ত হওয়ার পর শান্তিপ্রসাদ সিনহা ভুয়ো সুপারিশপত্রগুলি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়ের হাতে তুলে দেন। কল্যাণময়বাবু আবার তার ভিত্তিতে নিয়োগপত্র তৈরি করার জন্য নির্দেশ দেন পর্ষদের টেকনিক্যাল অফিসার রাজেশ লায়েককে। এফআইআরে সিবিআই লিখেছে, স্বাভাবিক পন্থাকে এড়াতে সুপারিশপত্রগুলি মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নিয়োগ শাখাতে পাঠানো হয়নি। এই গোটা ষড়যন্ত্রের ফলে বঞ্চিত হয়েছেন প্রকৃত চাকরি প্রার্থীরা।

সংবাদ সূত্র – বর্তমান পত্রিকা

মোবাইলে নিউজ আপডেটপেতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দিন, ক্লিক করুন Whatsapp


spot_imgspot_img
RELATED ARTICLES

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments