নিউজবাংলা ডেস্ক : সরকারী চাকরীর নামে টাকা নেওয়ার রেওয়াজ এই রাজ্যের কতটা গভীরে বাসা বেঁধেছে তা ইতিমধ্যেই স্পষ্ট হয়েছে প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চ্যাটার্জি ও তাঁর বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের ঘটনায়। সেই সঙ্গে অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হওয়া কোটি কোটি টাকার নগদ ও সম্পত্তির বিস্তারিত তথ্য এই ঘটনাকে আরও জোরাল করেছে। এবার নতুন করে এক শিক্ষকের চাকরী খোয়ানোর মামলার রায় দিতে গিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় পুনরায় সরকারী চাকরীর বেনিয়ম নিয়ে রাজ্যকে বিঁধেছেন।
মঙ্গলবার বিচারপতি ওই শিক্ষককে পুনরায় চাকরীতে বহাল করার নির্দেশ দেওয়ার পাশাপাশি এ রাজ্যে টাকা ছাড়া সরকারী চাকরী হয় না বলেও রাজ্যকে পুনরায় খোঁচা দিয়েছেন। প্রসঙ্গতঃ মুর্শিদাবাদের একটি প্রাথমিক স্কুলের চাকরী পেয়েছিলেন মিরাজ শেখ। কিন্তু কয়েক মাস চাকরীর পরেই তাঁকে বরখাস্ত করে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। যুক্তি ছিল, ওই শিক্ষকের স্নাতক স্তরের নম্বর কম ছিল যা সার্ভিস বুক তৈরির সময় নজরে আসে।
এরপরেই চাকরী হারানো শিক্ষক মিরাজ কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ্য হন। মামলাকারীর আইনজীবির দাবী, ওই শিক্ষক স্নাতক স্তরে ৪৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন যা সংরক্ষিত পদের মানদন্ড (৪৫%)এর বেশী। অথচ সাধারণ পদের মাপকাঠি অনুযায়ী মিরাজের স্নাতকের নম্বর ৫০% নয় বলেই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়েছে। মিরাজ সংরক্ষিত পদের আবেদন করে চাকরী পেলেও কেন তাঁকে সাধারণের মাপকাঠিতে দেখা হচ্ছে সেই প্রশ্ন তুলেই আদালতে যান তিনি।
সব পক্ষ্যের বক্তব্য শোনার পরেই মিরাজকে পুনরায় তাঁর চাকরী ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। আর এই মামলার রায় দেওয়ার সময়ই তিনি রাজ্যকে বিঁধতেও ছাড়েননি।
-সৌজন্যে আনন্দবাজার অনলাইন