নিউজবাংলা ডেস্ক : গত ১৫ মে বিকেল প্রায় ৪টে নাগাদ নন্দীগ্রামের নন্দনায়েকবাড়ে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিজেপি বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারীর অস্থায়ী আবাসস্থল ও দলীয় কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী। সেই ঘটনার প্রতিবাদে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন বিরোধী দলনেতা।
বৃহস্পতিবার সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা নির্দেশ দিয়েছেন, আগামী ১৪ জুন ওই পুলিশি অভিযান নিয়ে হলফনামা দিয়ে সবিস্তার রিপোর্ট জমা দিতে হবে পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপারকে। সেই সঙ্গে রাজ্যের বিরোধী দলনেতার বাড়িতে তল্লাশি চালানোর জন্য পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশের উদ্দেশ্যে তির্যক মন্তব্য করেন বিচারপতি। বিরোধী দলনেতার বাড়িতে অভিযানের যে নিয়ম তা মানা হয়নি বলেই মনে করেছেন বিচারপতি।
প্রসঙ্গতঃ নন্দীগ্রামে শুভেন্দু অধিকারীর এজেন্ট তথা বিশ্বস্ত সঙ্গী বিজেপি নেতা মেঘনাদ পালের স্ত্রীর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি জাল কাগজপত্র জমা দিয়ে একটি সমবায় ব্যাঙ্কে পদোন্নতি লাভ করেছেন। আর কাকতালীয় ভাবে ঠিক সেই সময়ই ওই সমবায় ব্যাঙ্কের চেয়ারম্যানের পদে ছিলেন মেঘনাদবাবু। এই ঘটনায় তমলুক থানায় নেতার স্ত্রীর বিরুদ্ধে তমলুক থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। এরপরেই পুলিশ মেঘনাদ পাল ও তাঁর স্ত্রীর সন্ধানে প্রথমে হরিপুরের বাড়িতে হাজির হন।
সেখানে গিয়ে তাঁদের কোনও সন্ধান না পেয়ে পুলিশ সটান হাজির হয় নন্দনায়েকবাড়ে শুভেন্দুর অস্থায়ী আবাসস্থলে। এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ শুভেন্দু তৎক্ষণাৎ বিষয়টি রাজ্যপালের গোচরে আনেন। এরপর শুভেন্দু কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ্য হন। সেই মামলার শুনানিতেই জেলা পুলিশের বিরুদ্ধে বিচারক ক্ষোভ উগরে দেন।
সংবাদ সূত্র-আনন্দবাজার অনলাইন
আরও পড়ুন : দু’দিন ধরে টানাপোড়েনের পর অবশেষে সন্ধ্যায় নিজাম প্যালেসে হাজির মন্ত্রী পরেশ অধিকারী !
মোবাইলে নিউজ আপডেটপেতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দিন, ক্লিক করুন Whatsapp