নিউজবাংলা ডেস্ক : রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বাবার প্রভাব খাটিয়ে এসএসসি পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েও তালিকার শীর্ষে এসে শিক্ষকতার চাকরী পাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতার বিরুদ্ধে। এবার কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেই শিক্ষকতার চাকরী খোয়ালেন মন্ত্রী কন্যা। আজ কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়ে অঙ্কিতা অধিকারীকে চাকরী থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।
হাইকোর্টের আরও নির্দেশ, এযাবৎ চাকরী থেকে মন্ত্রী কন্যা যে অর্থ উপার্জন করেছেন সেই টাকা তাঁকে ফেরৎ করতে হবে। তবে একবারে অতগুলো টাকা ফেরৎ না দেওয়া গেলেও দুই কিস্তিতে এই টাকা ফেরৎ করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি। আনন্দবাজার অনলাইনের খবর, এসএসসি পরীক্ষার্থী ববিতা সরকারের অভিযোগের ভিত্তিতে মন্ত্রী কন্যার অবৈধ উপায়ে চাকরী পাওয়ার বিষয়টি সামনে আসে।
প্রথমে মন্ত্রী কন্যার নাম মেধা তালিকায় না থাকলেও পরে দ্বিতীয়বার প্রকাশিত তালিকায় এক নম্বরে দেখা যায় অঙ্কিতা অধিকারীর নাম। গোটা ঘটনা নজরে আসার পর প্রথম তালিকায় ২০ নম্বরে নাম থাকা ববিতা সরকার বিষয়টি নিয়ে দৌড়ঝাঁপ শুরু করেন। পরে সরকারের কাছ থেকে কোনও সদুত্তর না পেয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেন তিনি। অবশেষে তাঁর সেই লড়াই আজ সাফল্যের মুখ দেখল।
আদালতের নির্দেশ, অঙ্কিতা আর নিজেকে শিক্ষিকা বলে পরিচয় দিতে পারবেন না। তিনি আর ওই স্কুলেও ঢুকতে পারবেন না। অঙ্কিতা এখন পর্যন্ত ৪১ মাস বেতন নিয়েছেন। সেই টাকার প্রথম কিস্তি ফেরাতে হবে ৭ জুন এবং দ্বিতীয় কিস্তির দিন ধার্য করা হয়েছে ৭ জুলাই। অবশেষে আজ মন্ত্রীকন্যাকে চাকরী থেকে বরখাস্তের নির্দেশ দেওয়ার পর আইনের ওপর পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলেই মামলাকারীরা জানিয়ে দেন।