নিউজবাংলা ডেস্ক, জয়পুর : ভরসা নেই ভল্টেও ! অস্ত্রধারী দুষ্কৃতীদের হামলা নেই। ভল্টের তালা ভেঙে লুট করার গল্প নেই। হিসেবের গরমিলও নেই। তবুও গায়েব হয়ে যাচ্ছিল একটার পর একটা কয়েন ! ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ যতদিনে জানতে পারল, ততদিনে উধাও হয়ে গিয়েছে ১১ কোটি ! ব্যাঙ্কের ভল্ট মানেই সাধারণ মানুষের ভরসার জায়গা। বাড়িতে চুরি কিংবা ডাকাতি হয়ে যাওয়ার ভয়ে অনেকে সোনা-দানা ভল্টে পাঠিয়ে নিশ্চিন্তে ঘুমোন। সেখান থেকেই কি না কয়েন চুরি!
তা হলে ভল্টে সিঁদ কাটল কে? সেটা গত বছর আগস্ট মাসের কথা। স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া (এসবিআই) রাজস্থানের মেহেন্দিপুর বালাজি শাখার, ঘটনা। রাজস্থান হাইকোর্টের নির্দেশে আপাতত স্বস্তিতে শাখার কর্মকর্তারা। কিন্তু তাঁরা এখনও ভেবেই পাচ্ছেন না এত কোটি টাকার কয়েন উধাও হয়ে গেল কী করে!
ব্যাঙ্কের হিসেব খাতার সঙ্গে একদিন কয়েনের ব্যাগ মেলাচ্ছিলেন কর্মীরা। তখনই নজরে আসে ১৩ কোটি টাকার কয়েন রাখতে যত সংখ্যক ব্যাগ প্রয়োজন তা নেই। বিষয়টি জানার পর মাথায় বাজ পড়ে ব্যাঙ্ক কর্তাদের৷ তখনই সমস্ত কয়েন গুনতে উদ্যোগী হন তাঁরা। নিয়োগ করা হয় বেসরকারি কাউন্টিং ভেন্ডরকে। তারা রাতদিন এক করে কয়েন গুনে জানিয়ে দেন, ভল্ট থেকে লোপাট ১১ কোটি টাকার কয়েন! আর কালবিলম্ব না করেই পুলিসে অভিযোগ দায়ের করে ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ।
ইতিমধ্যে একটি চাঞ্চল্যকর তথ্যে দাবী করা হয়েছে, টাকা গোনা ভেন্ডারের কর্মীরা জয়পুরের একটি গেস্ট হাউসে ছিলেন। ১০ আগস্ট রাতে একদল লোক গিয়ে তাঁদের কয়েন গোনার কাজ থেকে বিরত থাকার হুমকি দিয়ে আসে। তারা কারা, তা বের করতে পারেনি রাজস্থান পুলিস। তার পরেই সিবিআই তদন্ত চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করে এসবিআই কর্তৃপক্ষ। সেই আবেদন মেনে কয়েন লোপাট কাণ্ডে সিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার তুলে দিল আদালত।
মোবাইলে নিউজ আপডেটপেতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দিন, ক্লিক করুন Whatsapp