নিউজবাংলা ডেস্ক : নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না SSC’র। ২০২০ সালের এসএলএসটি নিয়োগে ভেরিফিকেশন তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা এক প্রার্থীকেই কিনা নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। এই নিয়ে বারেবারে এসএসসি’র (SLST Recruitment) কাছে আবেদন জানিয়েও কোনও সদুত্তর না মেলায় অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ্য হয়েছেন মামলাকারী হাওড়ার বাসিন্দা রানি সোনার। এই ঘটনায় যারপরনাই বিস্মিত বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। তিনি এসএসসি’র কাছ থেকে গোটা ঘটনার রিপোর্ট তলব করেছেন বলে খবর।
সূত্রের খবর, ২০২০ সালের এসএলএসটি নিয়োগে ভেরিফিকেশন তালিকায় রানি সোনারের র্যাঙ্ক ছিল ৫১। তার পর ভেরিফিকেশনে চূড়ান্ত প্রক্রিয়ার শেষে মেধাতালিকায় তিনি ছিলেন দ্বিতীয় স্থানে। বছরের পর বছর কেটে গেলেও নিয়োগপত্র পাননি তিনি। ২০২১ সালের ২৬ জুলাই এবং ২০২৩ সালের ৩০ জুন, এসএসসির কাছে নিয়োগপত্র পাওয়ার আবেদন জানান রানি। কিন্তু এসএসসির তরফে কোনও সদুত্তর পাননি। বাধ্য হয়ে রানি কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন।
বুধবার বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর এজলাসে এই মামলার শুনানি হয়। মামলাকারীর পক্ষের আইনজীবী আশিস কুমার চৌধুরী জানান, “রানি সোনার মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও তাঁকে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়নি। এসএসসির কাছে বার বার আবেদন জানানো সত্ত্বেও তারা নিরুত্তর। এসএসসি মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থানাধিকারীকে নিয়োগপত্র পাওয়া থেকে বঞ্চিত করতে পারে না।”
একথা শুনে কার্যত তাজ্জব হয়ে যান বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। বিস্ময় প্রকাশ করেন। এসএসসির আইনজীবী ডঃ সুতানু পাত্রের কাছে কী তথ্য রয়েছে, তা জানতে চান বিচারপতি। তিনি প্রশ্ন করেন, মেধাতালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা সত্ত্বেও কেন পেলেন না সুপারিশপত্র? এসএসসির কাছে আবেদন করেও কেন কোনও উত্তর পেলেন না?” আইনজীবী উত্তরে জানান, পুরো বিষয়টি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে জানতে হবে। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে এসএসসির কাছ থেকে জবাব তলব করেন বিচারপতি।
- সংবাদসূত্র – সংবাদপ্রতিদিন ডিজিটাল