নিউজবাংলা ডেস্ক : রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতিতে অবৈধ টাকা লেনদেনের খবর আগে থেকেই দলের কাছে ছিল। বিশেষতঃ পার্থ চট্টোপাধ্যায় বা তাঁর নাম (Kunal Ghosh) করে টাকা তোলা হচ্ছে বলে আগে থেকেই দল জানত। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগেই এই বিষয়ে তৃণমূল অবগত ছিল বলে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন ত্রিনমূলেরর সদ্য অপসারিত রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুনাল ঘোষ। একটি বেসরকারী চ্যানেলে কুনালের এই মন্তব্যে ঘুম ছুটেছে শাসক দলের।
শুধু এইটুকু মন্তব্য করেই ক্ষান্ত থাকেননি কুনাল। ওই সাক্ষাৎকারে কুণাল বললেন, রাজ্যে চাকরি বিক্রি হচ্ছে, নিয়োগে দুর্নীতি হচ্ছে। সে খবর দলের শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে আগে থেকেই ছিল। সেকারণেই ২০২১ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে শিক্ষামন্ত্রী করা হয়নি। যা নিয়ে পার্থ ক্ষোভও প্রকাশ করেছিলেন। কুণাল এদিন ফাঁস করেন, পার্থ একা নন, আরও একাধিক নেতা চাকরি বিক্রির সঙ্গে যুক্ত। তাঁরা এখন বহাল তবিয়তে দলে রয়েছেন। সেই নেতাদের নাম প্রকাশ না করলেও কুনালের গোপন ইঙ্গিত হেভিওয়েট নেতাদের মাথাব্যাথার কারণ হতে পারে।
এদিন কুণাল দাবি করেন, “চাকরি বিক্রি করে কেউ না কেউ অন্যায় করেছে। সেই লোক এখনও মন্ত্রিসভায় আছে। দলের মধ্যে এখনও বহাল তবিয়তে আছেন। যিনি চাকরি বিক্রিতে যুক্ত তিনি এখনও রাজ্যের মন্ত্রী।” কুণালের দাবি, আজ নিয়োগ দুর্নীতির জেরে পরিস্থিতি যে হাতের বাইরে বেরিয়ে যাচ্ছে বলে মনে হচ্ছে, সেটা আগে ছিল না। SSC’র সদিচ্ছা থাকলে সমস্যার সমাধান হতে পারত।
তবে নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এত বড় বিস্ফোরণ ঘটানোর পরও কুণাল স্পষ্ট করে দিয়েছেন, দল ছাড়ার কোনও সম্ভাবনা তাঁর নেই। তিনি এদিনের সাক্ষাৎকারে আরও একবার স্পষ্ট করে দিয়েছেন,”আমি তৃণমূলের সৈনিক। মমতা দিদি আমার নেত্রী। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে নেতা বলে মানি, ওকে ভালোবাসি। আমি দলের সৈনিক হিসাবে থেকে যাব। দল শেষ সুতোটা ছেড়ে দিলেও থেকে যাব।”
- সংবাদসূত্র – সংবাদপ্রতিদিন ডিজিটাল