নিউজবাংলা ডেস্ক : ময়নার বিজেপি কর্মী দীনবন্ধু মিদ্যা (১৮)’র মৃতদেহ পুনরায় ময়না তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। মৃতের পরিবারের আবেদন মেনে বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের নির্দেশ, দেহ ময়না তদন্ত হবে এসএসকেএম হাসপাতালে। ময়না তদন্তের গোটা (Moyna Crime News) পর্ব ভিডিওগ্রাফী হবে। পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশের নজরদারীতেই এই ঘটনার তদন্ত চলবে। এক সপ্তাহ আগে গত বৃহস্পতিবার বাকচার গোড়ামহল গ্রামে বাড়ির অদূরে একটি পান বরোজ থেকে দীনবন্ধুর ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল।
এই ঘটনায় প্রথম থেকেই রাজনৈতিক হিংসা জড়িত বলে দাবী জানিয়ে এসেছেন দিনবন্ধুর মা হেনারানী মিদ্যা। তাঁর দাবী, “ছেলেকে খুন করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় কয়েকজন তৃণমূল নেতাকে দোষী হিসেবে নাম জানিয়েছিল হেনা। এরপরেই এলাকায় ছুটে যান বিজেপির নেতা নেত্রীরা। বিজেপির তমলুক সাংগঠিক জেলার সভাপতি হলদিয়ার বিধায়ক তাপসী মন্ডল, তমলুকের বিজেপি প্রার্থী অভিজিৎ গাঙ্গুলিও মৃতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন। এই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও একাধিক প্রশ্ন তোলেন প্রাক্তন বিচারপতি।
অভিজিৎ গাঙ্গুলির অভিযোগ, “ছেলেটির মৃত্যুর খবর পেয়ে গোপাল পাঠক নামের এক পুলিশ অফিসার মৃতদেহ উদ্ধারে এসেছিল। যদিও ওই পুলিশ আধিকারীক ময়না থানায় ডিউটিতে ছিল না। কি কারনে এত তাড়াহুড়ো করে দেহ নিয়ে গেল পুলিশ তা নিয়েই সন্দেহ দানা বেঁধেছে। তাই গোটা ঘটনায় পুলিশের ভূমিকাও খতিয়ে দেখা উচিত”। এদিন হাইকোর্টে মৃতের পরিবারের তরফে দেহের দ্বিতীয়বার ময়না তদন্তের দাবী জানানো হয়। আদালত সেই দাবী মেনেই এসএসকেএমে দেহ ময়না তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে। সেই সঙ্গে পুলিশ সুপারের নজরদারীতে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।
তবে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সূত্রে খবর, প্রাথমিক তদন্তে এই ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন জড়িত বলে দাবী করা হয়েছে। এই ঘটনায় এক মহিলার জবানবন্দী নেওয়া হয়েছে বলেও জেলা পুলিশ সূত্রে খবর। তবে ঠিক কি ভাবে দীনবন্ধুর মৃত্যু হয়েছে সেই বিষয়ে এখনও কোনও সুস্পষ্ট রিপোর্ট জেলা পুলিশের তরফে জানানো হয়নি। এদিকে মৃত দীনবন্ধুর বাবা পেশায় ভীন রাজ্যে কর্মরত শ্রমিক ছেলের মৃত্যু সংবাদ পেয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তিনি জানান, “ছেলের মৃত্যু কিভাবে হল, এর পেছনে কোন ঘটনা দায়ী তা আমার জানা নেই। তবে আমার ছেলের মৃত্যুর জন্য কেউ দায়ী হলে তার যেন উপযুক্ত শাস্তি হয় এই প্রার্থনাই করছি”।