পূর্বমেদিনীপুর.ইন : কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের নির্দেশিকা অনুযায়ী গাড়িতে লালবাতির ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নিজের গাড়িতে কোনও বাতি লাগান না। অথচ বীরভূমের দাপুটে তৃণমূল নেতা অনুব্রত মন্ডল ঘোরেন লালবাতি লাগানো গাড়ি চড়ে। সিবিআইয়ের ডাকে মঙ্গলবার রাতে বীরভূম থেকে কলকাতায় আসার সময় থেকেই তাঁর লালবাতি লাগানো গাড়ি ঘিরে শুরু হয়েছে সমালোচনা। এর আগে আসানসোলে ভোট প্রচারেও তাঁর বিরুদ্ধে লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছিল। তবে সেসবের কুছ পরোয়া নেই এই তৃণমূল নেতার।
বুধবার সিবিআইয়ের দফতরে হাজিরে দিতে কলকাতার চিনারপার্কের ফ্ল্যাট থেকে বেরিয়ে পরে এসএসকেএম হাসপাতালে চলে যান অনুব্রত। সেই সময়ও তিনি লালবাতি লাগানো গাড়িতেই চড়েছেন। কিন্তু কিভাবে লালবাতি ব্যবহার করেন অনুব্রত সেই প্রশ্নই ঘুরে ফিরে আসছে সর্বত্র। সূত্রের খবর, অনুব্রত দুটি কমিশনের চেয়ারম্যান পদে রয়েছেন। একটি হল স্টেট রুরাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি এবং অপরটি পশ্চিমবঙ্গ স্বরোজগার নিগম লিমিটেড। এই দুটি কমিশনের সভাপতি হিসেবে তিনি একজন মন্ত্রীর সমতুল্য। তাই বলে কোন মন্ত্রবলে তিনি লালবাতি গাড়িতে ঘুরছেন তা নজর কেড়েছে সবার।
প্রসঙ্গতঃ গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা কোন কোন ব্যক্তি গাড়ির মাথায় বাতি (লাল নয়) লাগিয়ে ঘুরবেন তা কেন্দ্রের জারি করা নির্দেশিকায় স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। ২০১৭ সালের ১মে কেন্দ্রের জারি করা সর্বশেষ নির্দেশিকায় কোনও নিগমের সভাপতির নাম নেই। তাই অনুব্রত’র গাড়িতে বিশেষ আলো কিভাবে লাগাচ্ছেন তা কেউই স্পষ্ট করে জানাতে পারেননি। তবে কেন্দ্রীয় সড়ক পরিবহন মন্ত্রকের নির্দেশিকায় বিশেষ ক্ষেত্রে বাদামি হলুদ, বা অ্যাম্বর লাইট ব্যবহারের ছাড়পত্র আছে বিমানবন্দর, বন্দর এবং খনিতে। এছাড়াও দেশের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের মাল্টি কালার্ড লাইট (লাল, নীল ও সাদা আলো’র) বিধান আছে। তবে এই সুবিধা কারা পাবেন তা রাজ্য সরকারকে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানাতে হয়।
মোবাইলে নিউজ আপডেটপেতে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যোগ দিন, ক্লিক করুন Whatsapp