কাঁথি : গত ১১ নভেম্বর নন্দীগ্রামে জনসভায় দাঁড়িয়ে রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে কু মন্তব্য করেছিলে রাজ্যের কারা দফতরের প্রতিমন্ত্রী রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি। সেই ঘটনা ঘিরে জল গড়িয়েছে অনেক দূর। দেশ জুড়ে ভুরি ভুরি মামলা হয়েছে এই ঘটনায়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও এই ঘটনার জন্য দলের তরফে ক্ষমা চান। অবশেষে নিজের কৃতকর্মের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করলেন অখিল। শনিবার সংবাদ মাধ্যমের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন কারামন্ত্রী।
অখিল গিরির মতে, “নন্দীগ্রামের জনসভায় দাঁড়িয়ে আমি রাষ্ট্রপতিকে অপমান করতে চাইনি। কেবলমাত্র তুলনা টেনেছিলাম। তারপর এই বিষয়ে চর্চা শুরু হওয়ায় আমি অনুতপ্ত জানিয়েছি। কিন্তু বিরোধীরা আমাকে নিয়ে রাজনীতির খেলা শুরু করে। আমি পরিস্কার করে দিতে চাই, সেদিনের মন্তব্যের জন্য আমি অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী”। আজ সংবাদ মাধ্যমের কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে অখিল জানান, “দেশের রাষ্ট্রপতিকে অপমান করার কোনও সাহস আমার বা আর কারও নেই”।
এর আগে গত ১১ নভেম্বর অখিলের বক্তব্য নিয়ে শোরগোল শুরু হওয়ায় পরের দিন তিনি মন্তব্য করেছিলেন “এই ঘটনার জন্য আমি অনুতপ্ত”। তবে “ক্ষমাপ্রার্থী” শব্দটিকে তিনি অস্বীকার করেছিলেন। এরপরেই তৃণমূলের তরফে ট্যুইটে জানিয়ে দেওয়া হয় অখিলের বক্তব্যকে তাঁরা সমর্থন করেন না। এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদের সুর শোনা যায় তৃণমূল মুখপাত্র কুনাল ঘোষের গলাতেও।
শেষ পর্যন্ত গত ১৪ নভেম্বর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ও অখিলের মন্তব্যের জন্য প্রকাশ্যে ক্ষমা চান। মুখ্যমন্ত্রী জানান, কোনও মানুষের রূপ, রঙ নিয়ে তাঁকে বিচার করা যায় না। অখিল রাষ্ট্রপতিকে উদ্দেশ্য করে যে মন্তব্য করেছে তার জন্য দলীয় ভাবে ক্ষমা চান মুখ্যমন্ত্রী।
আজ ক্ষমা চেয়ে অখিল জানান, “আমি নিজের মন্তব্যের জন্য খুবই অনুতপ্ত। সেই সঙ্গে আমি অত্যন্ত লজ্জিত যে, আমার জন্য মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়েছেন। এই বিষয়টি আমাকে ভীষণ মর্মাহত করেছে। নিজের মন্তব্যের জন্য তাই সবার কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি”। তবে ক্ষমা চাইগে এতটা সময় কেন লাগল সে বিষয়ে কিছু মন্তব্য করেননি তিনি।