ভূপতিনগর : বোমা বিস্ফোরণের জেরে আবারও খবরের শিরোনামে পূর্ব মেদিনীপুরের ভুপতিনগর থানা এলাকা। সোমবার পাতা কুড়োতে গিয়ে বোমা বিস্ফোরণে জখম হয়েছেন স্থানীয় ইটাবেড়িয়া (Bhupatinagar Blast) এলাকার এক গৃহবধূ ও তাঁর একরত্তি শিশু। বোমের আঘাতে জখম হয়েছেন শাহানা বিবি ও তার ছয় বছরের শিশু পুত্র। তবে বোমাটি আরও কাছাকাছি বিস্ফোরণ ঘটলে শিশু ও মায়ের প্রাণ সংশয় ঘটতে পারত বলেই প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবী। তবে কে বা কারা এই বোমা পাতার আড়ালে মজুদ রেখেছিল তা নিয়েই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আহত শাহানা বিবি জানান, “এদিন সকালে বাড়ির অদূরে বাঁশ পাতা কুড়াতে গিয়েছিলাম। সঙ্গে ছিল ছোট্ট ছেলে। সেই সময় পাতার আড়ালে পড়ে থাকা একটি গোলাকার বস্তুকে বল ভেবে হাতে তুলে নেয় আমার ছেলে। ভয় পেয়ে বস্তুটিকে ফেলে দিতে বলি। ছেলেটি সেটা সামনেই ছুঁড়ে দেয়। এরপরেই প্রচন্ড শব্দে সেটি ফেটে যায়। প্রচন্ড ধোঁয়া আর বিকট শব্দে কান তালা হয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা এসে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়”। এই ঘটনায় শাহানা ও তাঁর ছেলের শরীরের কয়েকটি জায়গায় চোট লাগলেও আরও বড়সড় ক্ষয়ক্ষতি হতে পারত বলে মনে করছেন স্থানীয়রা।
ভগবানপুর ২ ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অম্বিকেশ মান্না বলেন ” ঘটনার পিছনে রয়েছে বিজেপি। সামনে পঞ্চায়েত ভোট তার আগে এলাকায় আতঙ্ক তৈরি করছে বিজেপি”। অন্যদিকে তৃণমূলের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করে এলাকার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ মাইতি বলেন ” এই ঘটনা কোন বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সারা রাজ্য জুড়ে ঘটছে এমন বিস্ফোরণের পর বিস্ফোরণ। ভগবানপুর বিধানসভার নাড়ুয়াবিলা বিস্ফোরণ কান্ডে তৃণমূল কংগ্রেসের বুথ সভাপতিসহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ভগবানপুরের মানুষ বিধানসভা ভোটে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। তারই প্রতিশোধ নিতে এসব করছে তৃণমূল। আর পুলিশকে ব্যবহার করে বিজেপির নেতাকর্মীদের মিথ্যে মামলা দিচ্ছে “।
এর আগে গত ২ ডিসেম্বর গভীর রাতে এই ভুপতিনগরের অর্জুননগর গ্রাম পঞ্চায়েতের নাড়ুয়াবিলা গ্রামে বড়সড় বিস্ফোরণের ঘটনা ঘিরে ব্যাপক শোরগোল হয়েছিল। তৃণমূলের স্থানীয় বুথ সভাপতি রাজকুমার মান্নার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণে ৩ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছিল। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে বিস্ফোরণের পরের দিনই কাঁথি শহরে সভা করতে আসেন তৃণমূলের সর্ব ভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ঘটনাটি নিয়ে জল ঘোলা হয়েছিল বিস্তর।