দিঘা : জীববৈচিত্রে ভরা বায়োডাইভার্সিটি পার্ক তৈরি হচ্ছে দিঘায় (Digha)। প্রায় ২ কোটি টাকা ব্যায়ে পার্কটি নির্মিত হচ্ছে নিউ দিঘার অমরাবতী পার্ক সংলগ্ন পদ্মপুরকুর এলাকায়। ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন-এর আর্থিক সহায়তায় (সিএসআর প্রকল্পে) দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের তত্ত্বাবধানে কাজ শুরু হয়েছে জোর কদমে। আগামী দিনে পর্যটক থেকে ছাত্রছাত্রী, গবেষক ও শিক্ষানুরাগীদের জন্য এই পার্কের গুরুত্ব অপরিসীম হয়ে উঠবে বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তাব্যক্তিরা। বিনোদন কেন্দ্র দিঘায় জীববৈচিত্র্য রক্ষার স্বার্থে এই ধরনের পার্ক প্রথম।
দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানসকুমার মণ্ডল জানান, পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষার উদ্দেশ্যকে সামনে রেখেই এই পার্ক গড়ে তোলা হচ্ছে। তবে এই পার্কে পরিবেশ রক্ষার পাশাপাশি পর্যটকদের মনোরঞ্জন ও বিনোদনের দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হয়েছে। পর্যটকদের বসার আসন থাকছে। উন্নতমানের রেস্টুরেন্টের পাশাপাশি পদ্মপুকুরে বোটিংয়ের ব্যবস্থাও থাকছে। কংক্রিটের তৈরি বিভিন্ন জীবজন্তুর মডেল পার্কের আকর্ষণ বাড়িয়ে তুলবে।
দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন সংস্থার মুখ্য কার্যনির্বাহী আধিকারিক মানসকুমার মণ্ডল বলেন, পদ্মপুকুর এবং তার চারপাশ মিলিয়ে সাড়ে মোট তিন একর জায়গা রয়েছে। সেখানেই পার্ক গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। আগামী কয়েকমাসের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে।
উন্নয়ন সংস্থা সূত্রে জানা গিয়েছে, এই পার্কে জীববৈচিত্র্য রক্ষার কথা মাথায় রেখে বহু রকমের গাছগাছালি থাকছে। প্রতিটি গাছগাছালির নাম এবং গুণাগুণ চিহ্নিত করা থাকছে। গাছগাছালিতে যাতে বিভিন্ন ধরনের পাখি কিংবা অন্যান্য প্রাণী আসতে পারে, সেই বিষয়টিও মাথায় রাখা হয়েছে। বেড়াতে আসা পর্যটকরা কিংবা স্কুল-কলেজের বিজ্ঞানের ছাত্রছাত্রীরা পার্কে এসে সবকিছু দেখে জীববৈচিত্র্য সম্পর্কে নিজেদের অভিজ্ঞতার ভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করতে পারবেন।
দীঘা-শঙ্করপুর উন্নয়ন সংস্থা সূত্রে জানানো হয়েছে, নিউ দীঘায় অমরাবতী পার্কের কাছে পদ্মপুকুর সংলগ্ন এলাকায় উন্নয়ন সংস্থার নিজস্ব জায়গার উপর পরিবেশ-বান্ধব এই পার্কটি গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়েছে। ইতিপূর্বে পার্কের শিলান্যাসও হয়েছে। বর্তমানে জোরকদমে কাজ চলছে। আইওসি তাদের সিএসআর(কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি) প্রকল্পে এই পার্কটির জন্য ২কোটি টাকা খরচ করছে। দীঘায় পর্যটকদের মনোরঞ্জন ও বিনোদনের কথা মাথায় রেখে একাধিক পার্ক গড়ে তোলা হলেও এধরণের পার্ক প্রথম বলেই জানানো হয়েছে।
আমাদের প্রকাশিত সংবাদ কেমন লাগছে, আপনার মূল্যবান পরামর্শ নীচের কমেন্ট বক্সে লিখে জানান।