মহিষাদল : দিন কয়েক আগেই সমবায় নির্বাচনে নন্দকুমার মডেল ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল রাজ্য জুড়ে। বহরমপুর সমবায়ে রাম বাম জোটের কাছে চূড়ান্ত ভাবে ধরাশায়ী হয়েছিল শাসক তৃণমূল। তবে এবার বাম ও বিজেপিকে পরাস্ত করতে কংগ্রেসের হাত ধরার ঘটনা সামনে এসেছে পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল থানা এলাকায়। বুধবার মহিষাদলের গেঁওখালী কৃষি সমবায় সমিতির নির্বাচনে হাত-ঘাসফুল জোটের কাছে ধরাশায়ী হল বাম ও বিজেপি। যদিও এই নির্বাচনে বাম ও বিজেপি আলাদা ভাবেই লড়াই চালিয়েছে।
৪৯টি আসনের গেওখালী সমবায়ে লড়াইয়ে নেমেছিল কংগ্রেস-তৃণমূল জোট বনাম সিপিএম এবং বিজেপি। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে চওড়া হাঁসি শাসক শিবিরেই ফুটেছে। এখানকার ২৬টি আসনে তৃণমূল ৫টি আসনে কংগ্রেস, সিপিএম ও বিজেপি জিতেছে ৯টি করে আসনে। তবে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকের মতে, এখানে কংগ্রেস তৃণমূলের ভোট কাটাকাটি হলে আরও অনেক আসনেই বিরোধীদের বাজি জেতার সম্ভাবনা ছিল।
স্থানীয় কংগ্রেস নেতা রঘুনাথ কামিল্যা জানান, “সমবায়ের উন্নয়নের কথা ভেবেই আমরা তৃণমূলের সঙ্গে জোটের পথে হেঁটেছি। গেওখালি সমবায়ের মাধ্যমে বিপুল এলাকার মানুষ পরিষেবা পেয়ে থাকেন। স্বল্প সুদে কৃষি ঋণ নিয়ে বহু কৃষক উপকৃত হন। সেখানে বোর্ড গঠনে দায়িত্বশীল ভূমিকা নিয়েই তৃণমূলের সঙ্গে জোট গড়েছি আমরা”। যদিও সামনের পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই জোট দেখা যাবে কিনা তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি শাসক-জোটের নেতারা।
অন্যদিকে এই নির্বাচনে তৃণমূল ও কংগ্রেসের জোটকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি গেরুয়া শিবির। বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সভাপতি তপন ব্যানার্জীর দাবী, “তৃণমূলের সঙ্গে কংগ্রেসের জোট বেঁধে লড়াই হাস্যস্পদ। একদিকে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে চলেছেন আর মহিষাদলে সেই তৃণমূলের সঙ্গেই কংগ্রেসের জোট। ওদের রাজ্যের মানুষ কোনও দিনই বিশ্বাস করবে না”। া