কাঁথি, পূর্ব মেদিনীপুর : কাঁথি সেচ দফতরের মাঠেই হবে পুজো। কাঁথি রিক্রিয়েশান ক্লাবের ২২ বছরের পুজোকে কোনও ভাবেই বন্ধ করা যাবে না। বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চের রায়ে এই পুজোর জট কাটল বলে মামলাকারীদের পক্ষ্যের আইনজীবি জানিয়ে দিলেন। হাইকোর্ট নিযুক্ত স্পেশাল অফিসারের রিপোর্টের ভিত্তিতেই এই রায় বলে মামলাকারী পক্ষ্যের দাবী।
প্রসঙ্গতঃ গত আগষ্ট মাসে কাঁথি রিক্রিয়েশান ক্লাবের তরফ থেকে সেচ দফতরের কাছে দুর্গা পুজোর জন্য অনুমোদন চেয়ে আবেদন করে। ক্লাব কর্তৃপক্ষের দাবী, প্রথমে অনুমোদন দেওয়া হলেও পরে কিছু সংশোধনের নামে অনুমোদন পত্রটি ফেরৎ নিয়ে নেওয়া হয়। ক্লাবের দাবী, শুভেন্দু অধিকারী এই ক্লাবের সভাপতি থাকায় পুজোর অনুমোদন বাতিল করা হয়েছে। এই পুজোর সঙ্গে কাঁথির মানুষের আবেগ জড়িয়ে আছে। তাই ক্লাব কর্তৃপক্ষ বাধ্য হয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ্য হয়।
মামলাটি ওঠে হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও কেসার ডোমা ভুটিয়ার ডিভিশন বেঞ্চে। বিচারপতিদের নির্দেশে হাইকোর্ট নিযুক্ত স্পেশাল অফিসার বুধবার সন্ধ্যে নাগাদ কাঁথিতে পৌঁছান পরিস্থিতি খতিয়ে দেখার জন্য। মামলাকারীদের পক্ষ্যের আইনজীবি জানান, রাজ্য সরকার যুক্তি খাড়া করে জানিয়েছিল পুজোর সময় নাকি আবহাওয়া খারাপ হবে। পরে জানায়, সেচ দফতরের মাঠে ত্রাণ সামগ্রী রাখা হবে। এমন যুক্তি সঠিক কিনা তা খতিয়ে দেখে বৃহস্পতিবার পুজোস্থলের ফটো সহ রিপোর্ট আদালতে জমা করেন স্পেশাল অফিসার।
সেই ছবিতে দেখা যায়, পুজোর জায়গাটি ঝোপ জঙ্গলে ভরে রয়েছে। তাছাড়া মাঠটি অনেক বড়। তার সামান্য অংশেই পুজো হয়। সবদিক খতিয়ে দেখার পরেই ডিভিশন বেঞ্চ রায় দিয়ে জানায়, ৪৮ ঘন্টার মধ্যে সেচ দফতরকে পুজোর অনুমোদন দিয়ে দিতে হবে। এবং দুর্গা পুজো সংক্রান্ত সমস্ত অনুমোদন দ্রুত ক্লাবকে দিতে হবে। মামলাকারীদের দাবী, আজকের আদালতের রায়ের পর কাঁথির মানুষের আবেগ জড়িয়ে থাকা পুজোয় আর কোনও বাধা রইল না।
পূজোর অনুমোদন বাতিলের ঘটনায় মৎস্য মন্ত্রী অখিল গিরি’র সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, যে দফতর অনুমোদন দেয়নি সেটা সম্পূর্ণ তাঁদের বিষয়। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বিভিন্ন সময়ে এমন বিষয়ে আদালতে যান পুজো উদ্যোক্তারা। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সংযোগ নেই।