নন্দন বেরা, এগরা : পূর্ব মেদিনীপুরের এগরা (Egra) থানার জেড়থান গ্রাম পঞ্চায়েতের বাকচা গ্রামের মাঠের মধ্যে থেকে উদ্ধার হল এক যুবকের আধপোড়া দেহ। মৃত যুবকের নাম সুমন ডেহেরি (২০)। তাঁর বাড়ি ছত্রি গ্রাম পঞ্চায়েতের কামারডিহা পাটনা গ্রামে। ভিন রাজ্যে কাজ করা ওই যুবক কয়েক দিন আগেই বাড়ি ফিরেছিল।
রবিবার সন্ধ্যে নাগাদ মেলা দেখতে যাওয়ার কথা বলে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় সে। এরপর সকালে তাঁর মৃত দেহ উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, মৃত দেহের পাশেই পড়েছিল তাঁর পোশাক ও দাহ্য তেলের একটি বোতল। কিভাবে ওই মৃত্যু তা নিয়ে শুরু হয়েছে ব্যাপক জল্পনা।
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, এদিন সকালে কিছু লোক প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে মাঠের মধ্যে ঝোপের পাশে একটি পুড়ে যাওয়া মৃত দেহ দেখতে পায়। পাশেই পড়েছিল তাঁর পোশাক, দুটি খালি বোতল। প্রাথমিক ভাবে অনুমান, গায়ে তেল ছিটিয়ে আগুন ধরানো হয়েছে। কিন্তু ঠিক কোন কারণে এমন ঘটনা তা এখনও স্পষ্ট হয়।
খবর পেয়ে এগরা থানার পুলিশ মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠিয়েছে। সেই সঙ্গে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। তবে এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় পুলিশে কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি বলেই জানা গেছে।
কাঁথির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গ্রামীন) মানব সিংলা জানিয়েছেন, “মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে প্রাথমিক তদন্তে ঘটনাটি আত্মহত্যার বলে মনে হয়েছে।
যদিও এখনও পর্যন্ত মৃতের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ আসেনি। আমরা ইতিমধ্যে মৃতের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। দেহটিকে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে এলে গোটা ঘটনা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
তবে স্থানীয় বাসিন্দারা এই ঘটনাকে নিছক আত্মহত্যার বলে মানতে রাজি নয়। এর আগেও এগরা থানা এলাকায় কসবা অঞ্চলের কইথোড় গ্রামে গত বছরের ২৩ নভেম্বর বিকাশ দে (২০) নামের এক যুবকের আধপোড়া মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল ঝোপের আড়াল থেকে। সেই ঘটনায় এখনও কোনও কিনারা হয়নি। তার আগের দিন ২২ নভেম্বর এগরার জেড়থান গ্রাম পঞ্চায়েতের কিয়া গ্রামে অস্বাভাবিক ভাবে পুকুর থেকে মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছিল অজিত জানা (৫০) নামের এক ব্যক্তির।