নিউজবাংলা ডেস্ক : রাজ্য পুলিসের তত্ত্বাবধানেই হবে এই রাজ্যের পঞ্চায়েত ভোট৷ মঙ্গলবার রাজ্য নির্বাচন কমিশন সূত্রে তেমনই ইঙ্গিত মিলেছে বলে দাবী করেছে জনপ্রিয় বাংলা দৈনিক। তবে আগামী বছরের শুরুতেই, নাকি মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা মিটলে ভোট? সে-ব্যাপারে কমিশনের কাছে কোনও তথ্য নেই।
এদিকে, আজ বুধবারই সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং আসন সংরক্ষণ সংক্রান্ত খসড়া তালিকা প্রকাশ করতে চলছে কমিশন। দার্জিলিং ও কালিম্পং বাদে সবক’টি জেলায় গ্রাম পঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ স্তরে সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং আসন সংরক্ষণ নিয়ে ওই খসড়া তালিকা প্রকাশিত হবে। মাস দুই আগে রাজ্যজুড়ে সীমানা পুনর্বিন্যাস এবং আসন সংরক্ষণ সংরক্ষণের কাজ শুরু হয়।
সাধারণত প্রতি দশবছরে একবার এই কাজ হয়ে থাকে। এর আগে ২০১৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এই কাজ হয়েছিল। সেই হিসাবে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে মোট ৪৮ হাজার ৬৩৬টি আসন রয়েছে। পঞ্চায়েত সমিতি স্তরে আসন সংখ্যা রয়েছে ৯২১৪। ১৭টি জেলা পরিষদে ৮২৪টি আসন আছে। ইতিমধ্যেই বেশকিছু পঞ্চায়েত এলাকা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
কমিশন মনে করে, ভোটের নিরাপত্তার বিষয়টি দেখভালের দায়িত্ব প্রধানত রাজ্য সরকারের। তাছাড়া সদ্য মিটে যাওয়া পুর নির্বাচনে রাজ্য পুলিস যথেষ্ট ভালো কাজ করেছে। নির্বাচন কমিশনারও কার্যত পুলিসের ভূমিকার প্রশংসা করেছিলেন। সেক্ষেত্রে ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিষয়টি আপাতত ভাবা হচ্ছে না।
সীমানা পুনর্বিন্যাসের খসড়া তালিকা প্রকাশ হলে পঞ্চায়েতের তিনটি স্তরে আসন সংখ্যা সংক্রান্ত চিত্র পরিষ্কার হবে৷ ‘খসড়া তালিকা’ নিয়ে কোনও ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলের কোনও অভিযোগ থাকলে তা ২ নভেম্বরের মধ্যে জানাতে হবে। জেলাগুলিকে সমস্ত অভিযোগ নিষ্পত্তি করতে হবে ১৬ নভেম্বরের মধ্যে। তবে আসন সংখ্যা যা-ই হোক, রাজ্য পুলিসের তত্ত্বাবধানেই ভোট হবে বলে জানা গিয়েছে।
এদিকে, রাজ্য সরকারের তরফে দিনক্ষণ সংক্রান্ত প্রস্তাব এলে আলোচনার ভিত্তিতে ভোটের তারিখ ঠিক হবে। ফলে নতুন বছরের শুরুতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের সম্ভাবনা এখনই উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ ফেব্রুয়ারি থেকেই রাজ্যজুড়ে পরীক্ষার মরশুম শুরু হয়ে যাবে। চলবে মার্চের শেষ পর্যন্ত। আর একান্তই যদি ভোটের তারিখ এগিয়ে আনা সম্ভব না-হয় সেক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়ে, অর্থাৎ এপ্রিলেই হবে নির্বাচন।