নিউজবাংলা : ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগের দাবিতে আন্দোলনকারী মহিলা চাকরীর প্রার্থীর হাতে এক মহিলা পুলিশ কর্মীর কামড় বসিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘিরে ব্যাপক উত্তাল রাজ্য রাজনীতি। একদিকে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ যেমন জানাচ্ছেন, এটা আসলে পুলিশ নয় রাজ্য সরকারই কামড় বসিয়েছে চাকরীপ্রার্থীর হাতে। আবার পুলিশের দাবী, ওই চাকরীপ্রার্থীই আগে মহিলা পুলিশ কর্মীর হাতে কামড়েছিলেন।
তবে কারণ যাই হোক না কেন, চাকরী প্রার্থীদের বিক্ষোভ থেকে হঠাতে প্রকাশ্যে পুলিশ কর্মীর এই কামড়কে কোনও ভাবেই মেনে নিতে পারছেন না শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষেরা। এই ঘটনার পরেই আবার কামড় খাওয়া চাকরীপ্রার্থীর সহ ৩০ জনের ঠাই হয়েছে থানায় আর কামড় দেওয়া মহিলা কনস্টেবল ভর্তি হলেন হাসপাতালে।
অরুণিমা পাল নামে আহত প্রার্থীকে সন্ধ্যায় প্রথমে হেয়ার স্ট্রিট থানা এবং পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানো, পুলিশের উপর হামলা-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ দিন রাতে ৩০ জন বাদে বাকি চাকরিপ্রার্থীদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে হেয়ার স্ট্রিট থানা থেকে। আজ ধৃত চাকরীপ্রার্থীদের আদালতে তোলা হবে।
প্রসঙ্গতঃ ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেট উত্তীর্ণ প্রার্থীদের নিয়োগের দাবিতে বুধবার দুপুরে প্রথমে রবীন্দ্র সদনের এক্সাইড মোড় এবং পরে ক্যামাক স্ট্রিটে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের সামনে পুলিশের সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীদের রীতিমতো ধস্তাধস্তি হয়। কামড়ে দেওয়ার ঘটনাটি ক্যামাক স্ট্রিটেই ঘটে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর।
অভিযোগ, চাকরিপ্রার্থীদের আন্দোলনের মাঝে এক পুরুষ চাকরিপ্রার্থীর মাথা ফেটে যায়। পুলিশের গাড়ি আটকাতে নীচেও ঢুকে পড়েন কিছু প্রার্থী। সন্ধ্যায় শিয়ালদহ স্টেশন চত্বরেও বেশ কিছু চাকরিপ্রার্থী বিক্ষোভ দেখান। সেখান থেকেও কার্যত জোর করে তাঁদের টেনেহিঁচড়ে ভ্যানে তোলা হয়। হেয়ার স্ট্রিট থানায় নিয়ে গেলে কয়েক জন প্রার্থী অসুস্থ বোধ করেন। কামড়ের তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছে বিরোধী শিবির। আর রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, কামড়ানোর ঘটনা অবাঞ্ছিত।