নিউজবাংলা : প্রাথমিক শিক্ষকের শূন্যপদ পূরণে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ। ২০১৪ সালের টেটের ভিত্তিতে ২০১৬ এবং ২০২০ সালে দু’বার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
কিছুদিন আগে প্রাথমিকে শূন্যপদের সংখ্যা জানতে চান বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। সে-সময় পর্ষদ জানায়, ২০২০ সালে ১৬,৫০০ শূন্যপদে নিয়োগের কথা থাকলেও সব পদ পূরণ করা হয়নি। প্রায় সাড়ে ১২ হাজার পদে নিয়োগ করা হয়েছিল। ফলে ৩৯২৯ শূন্য পদে নিয়োগ এখনও বাকি রয়েছে বলে জানায় পর্ষদ।
পর্ষদের এই তথ্য সামনে আসার পরই বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, যোগ্যতার ভিত্তিতে ২০১৪ সালের প্রার্থীদের এই শূন্যপদগুলিতে চাকরি দিতে হবে। পরে ২০১৪ সালের টেটে প্রশ্ন ভুলের কারণে একের পর এক মামলা আসতে থাকে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের এজলাসে।
সবদিক যাচাই করে পুজোর আগেই কয়েকশো প্রার্থীকে চাকরি দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। পাশাপাশি বিচারপতি নির্দেশ দেন ওই ৩,৯২৯ শূন্যপদ থেকে কতজনকে চাকরি দেওয়া হল তা ১১ নভেম্বর পর্ষদকে আদালতে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে।
সেই নির্দেশ কার্যকরের আগেই তা চ্যালেঞ্জ করে এবার ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হল পর্ষদ। তাদের দাবি, ওই নির্দেশের ফলে নিয়োগে বিস্তর জটিলতা তৈরি হয়েছে। চলতি সপ্তাহে বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।