খেজুরি : পঞ্চায়েত ভোটের আগে হার্মাদ মুক্ত দিবস উদযাপনে খেজুরিতে বিশাল মিছিলে পা মিলিয়ে তৃণমূল সহ পুলিশকে খোলা হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। উদ্দেশ্য করে রীতিমতো হুংকার দিয়ে গেলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। একের পর এক বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ তুলে পুলিশকেও কাঠগড়ায় দাঁড় করান শুভেন্দু। শুভেন্দুর হুঁশিয়ারি, “অপেক্ষা করুন, সবে তো ১২টা বাজে, এখনও তো সূর্য ডোবেনি। খেজুরিতে এখনও জীবিত আছে এনআইএ, দেশদ্রোহীরা সাবধান। এটা শুভেন্দু অধিকারীরা বলে দিয়ে গেল”।
শুভেন্দুর উক্তি, “আমি ১ তারিখে খেজুরিতে আসছি। বুঝিয়ে দেব শুভেন্দু কে। আরে এনআইএ তো সবে শুরু করেছে কাজ। সমর মন্ডল কোথায়, অপেক্ষা করুন, সবে তো ১২টা বাজে, এখনও তো সূর্য ডোবেনি, বুঝেছেন”। এরপরেই এনআইএ প্রসঙ্গ তুলে তৃণমূল নেতাকে হুঁশিয়ারি দিয়ে শুভেন্দুর মন্তব্য, “মাননীয় ইয়াসিন বাবু আপনার যা যা ওষুধ লাগবে ডাক্তারবাবু সব জানে। আমি এই দায়িত্বটা নিলাম”।
প্রসঙ্গতঃ ২০১০ সালের আজকের দিনে খেজুরি থেকে সিপিএমকে উৎখাত করেছিল তৃণমূল। সেই অভিযানে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী। তারপর থেকেই প্রতি বছর এই দিনে খেজুরিতে হার্মাদ মুক্ত দিবস পালন করেন রাজ্যের বর্তমান বিরোধী দলনেতা। তবে আজকের দিনেই তৃণমূলও খেজুরিতে সভা করছে। সেখানে আবার কুনাল ঘোষের পাশাপাশি থাকছেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাও।
আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রস্তুতির জন্য শুভেন্দুর উপদেশ, “বড় সভা ছেড়ে চাটাই সভা করুন”। তিনি জানান, “প্রতি বুথে আমার ৫০টা লোক দরকার আমার। এর মধ্যে ৩০টা যুবক আর ২০টা মহিলা। মহিলারা হবে মা ভবানী, আর যুবকরা হবে স্বামী বিবেকানন্দের শিষ্য। কি করে এদেরকে হারাতে হয় শুভেন্দু অধিকারী ঠিক জানে। আমি কম্পারটমেন্টাল চিফ মিনিষ্টারকে হারিয়েছি। আপনারাও পারবেন”।